পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় চলছে ঢিলেঢালা লকডাউন। বুধবারও (২৮ এপ্রিল) এ নৌরুট হয়ে কর্মস্থল ঢাকায় ছুটছেন শত শত মানুষ। তবে সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে নেই স্বাস্থ্যবিধির মানার বালাই।
এদিন সকাল থেকেই জীবন-জীবিকার জন্য কর্মস্থল ঢাকায় ছুটছেন সাধারণ মানুষ। তবে পাটুরিয়া ঘাট দিয়ে ওপারেও (দৌলতদিয়া) গেছে অনেকে।
আর স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ঘাট এলাকায় আগত সাধারণ যাত্রীরা রয়েছে করোনাভাইরাস সংক্রমণের চরম ঝুঁকিতে।
এদিকে এ নৌরুটে চলাচলকারী ফেরিগুলো সামাজিক দূরত্ব না মেনে দাঁড়িয়ে গাদাগাদি করে পার হতে দেখা যায় অনেককেই।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজির হাট নৌরুটের ২০টি ফেরির মধ্যে সকাল ৬টা থেকে ছোট ৩টি ফেরি চলাচল করছে।
মোকশেদ নামের একজন যাত্রী জানান, জীবন-জীবিকার জন্য তাকে বের হতে হয়েছে। লকডাউন আর হবে না এমনটা ভেবে এত দিন নিজ গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরে অবস্থান করলেও উপার্জন বন্ধ থাকায় নতুন করে ঘোষিত লকডাউনের মধ্যেই তাকে ফিরতে হচ্ছে রাজধানীর কর্মস্থলে।
তিনি বলেন, ছেলে, মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় ছুটছি। দোকানপাট যেহেতু খুলছে। আমারও কোনো ব্যবস্থা হবে। সংক্রমণের আশঙ্কার ভয় থাকলেও কিছু করার নেই। খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে হবে তো।
রাহেলা খাতুন ঢাকার মেয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়ে লকডাউনে আটকা পড়েন। তবে মাগুরায় গ্রামের বাড়িতে জরুরি যাওয়া প্রয়োজন পড়ে তার। তাই গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও কয়েক গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত পৌঁছাতে হয়েছে তাকে। বয়সের কারণে চলতে হাঁপিয়ে গেলেও মাস্ক পরতে ভুল করেননি এই নারী।
পাটুরিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাম হোসেন জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে দিনের বেলায় ছোট ৩টি ফেরি পারাপারে নিয়োজিত রয়েছে। রাতে পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছোট-বড় কয়েক হাজার যানবাহন ঘাট পার হয়েছে।
নদী বন্দর / পিকে