1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
বিষমুক্ত সবজি চাষে তাক লাগানো সাফল্য - Nadibandar.com
মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০২:১০ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২১
  • ১৩৯ বার পঠিত

গাজীপুরে রাসায়নিক সার ও বিষমুক্ত সবজি চাষ করে তাক লাগানো সাফল্য পেয়েছেন দুই যুবক। তারা হচ্ছেন—গাজীপুর মহানগরীর ছোট দেওড়া এলাকার কৃষিবিদ শাহাদাত হোসেন ও ইশতিয়াক মুনীম। ‘বায়ো গ্রীন এগ্রো ফার্ম’ নামে তাদের প্রতিষ্ঠিত ফার্মটি এখন এলাকার গর্ব। তাই তাদের দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে কৃষিতে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ দেখাচ্ছেন আরও বহু তরুণ।

জানা গেছে, করোনাকালীন ঘরে বসে না থেকে বাড়ির পাশের পতিত প্রায় সাত বিঘা জমিতে কৃষি আবাদের উদ্যোগ নেন শাহাদাত ও মুনীম। পরিকল্পনা ছিল বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনের। জৈব সার প্রয়োগ করে গত ১ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু করেন। রমজান মাস সামনে রেখে লাগান শসা, বেগুন ও হলুদ তরমুজ। পাশাপাশি লাউ, মিষ্টিকুমড়া, চিচিঙ্গা, ঝিঙা, ঢ্যাঁড়শ, করলা, উচ্ছে, পেঁপে, ডাঁটাসহ বিভিন্ন সবজি। মাত্র আড়াই মাসেই শসা, বেগুন ও তরমুজে সাফল্য আসে। সাত শতক জমিতে চাষ করা শসা থেকে এ পর্যন্ত আয় হয়েছে ৩০ হাজার টাকার বেশি। প্রতিদিন বেগুন থেকে আসে হাজার টাকা। এছাড়া বাম্পার ফলন হয়েছে অন্য সবজিরও। তবে সবচেয়ে তাক লাগানো সাফল্য এসেছে হলুদ তরমুজে। মাচাভর্তি ঝুলে আছে শতশত তরমুজ। আগামী মের শুরু থেকে তরমুজ বিক্রি পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

উদ্যোক্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, কৃষি বিষয়ে মাস্টার্স করার পর তিন বছর আগে একটি বিদেশি উন্নয়ন সংস্থায় চাকরি নেন তিনি। করোনার কারণে অফিস বন্ধ থাকায় চাষবাসের বিষয়টি মাথায় আসে। তারা আধুনিক ‘মালচিং’ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করেছেন। এ পদ্ধতিতে চাষাবাদের জন্য বেড তৈরি করে মাটি এক ধরনের বিশেষ প্লাস্টিকের কাগজ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। নির্দিষ্ট দূরত্বে কাগজ ফুটো করে চারা লাগানো হয়।

বিশেষ এ কাগজ মাটির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও গুণগতমান ঠিক রাখে। আগাছা জন্মায় না। জৈব সারের সক্ষমতা ধরে রাখে এক বছর। খামারে তারা কোনো ধরনের রাসায়নিক সার বা কীটনাশক ব্যবহার করেননি। সার-কীটনাশক সব জৈব। পোকামাকড় মারতে ব্যবহার করেন ফেরোমিন ফাঁদ প্রযুক্তি। এ ধরনের সবজির চাহিদা ব্যাপক। ফার্মেই তাদের সব সবজি বিক্রি হয়ে যায়।

অন্য তরুণ ইশতিয়াক মুনীম জানান, মাস্টার্স পাশ করে বাড়িতেই ছিলেন। চাকরি করার ইচ্ছা ছিল না। এ সময় মাথায় আসে কৃষিতে জড়ানোর। ঐ থেকে শুরু। তারা দুই বন্ধু জৈব পদ্ধতিতে চাষ শুরু করার পর স্থানীয়রা তাদের পাগল বলত। অনেকে হাসাহাসি করে নানা সমালোচনা করত। এখন তারাই ফার্ম দেখতে আসে। উত্সাহ দেয়। নিজেরাও এভাবে ফার্ম করার আগ্রহ দেখায়। তখন কষ্ট পেলেও ফলন আসার পর এখন তারাও অনেক খুশি। ভবিষ্যতে একটি ‘কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন’ এবং চাকরির পিছনে না ঘুরে আধুনিক তরুণ শিক্ষিত কৃষক সমাজ তৈরির স্বপ্ন রয়েছে এই দুই যুবকের।

নদী বন্দর / এমকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com