রাজবাড়ীতে খরা ও তাপদাহে চরম বিপাকে পড়েছেন পাট চাষিরা। অতিরিক্ত খরায় পাটক্ষেতে দেখা দিয়েছে ছটকা পোকার আক্রমণ। পাট চাষিরা বলছেন, এ বছর বৃষ্টি না থাকায় মেশিন দিয়ে পানি দিতে গিয়ে খরচ হচ্ছে কয়েকগুণ, তার ওপর আবর পোকার আক্রমণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরেছেন তারা।
সোমবার ( ৩ মে ) সকালে সরেজমিনে রাজবাড়ী সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের কৃষক নিতাই চন্দ্র রায়ের পাটক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, স্বাভাবিকভাবে এই সময়ে ক্ষেতের প্রতিটি পাট অন্তত ৩ থেকে সাড়ে ফুট লম্বা হওয়ার কথা থাকলেও পাট যেন মাটিতে হামাগুড়ি খাচ্ছে। খরা ও তাপদাহে পাট পুড়ে বসে গেছে মাটিতে।
শুধু নিতাই চন্দ্র রায় নন একই অবস্থা তার মতো আরও শত শত কৃষকের। কৃষকেরা জানান, মেশিনে সেচ দিয়ে পাট চাষ করতে গিয়ে বিঘা প্রতি অন্তত ২ হাজার টাকা বেশি খরচ হচ্ছে। যে কারণে শুরুতেই লোকসানের আশঙ্কা করছে তারা। এ ব্যপারে পরামর্শ দেওয়ার জন্য কোনো কৃষি কর্মকর্তাকে খুঁজে পাওয়া যায় না বলেও অভিযোগ করেন তারা।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাহাউদ্দিন শেক জানান, বৃষ্টি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পাটের ক্ষতি হচ্ছে। বৃষ্টি হলেই পাট বেড়ে যাবে। আর পোকার আক্রমণরোধে প্রয়োজনে কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এ বছর রাজবাড়ী সদর উপজেলায় ১০ হাজার ১৪৫ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছে।
নদী বন্দর / পিকে