ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে হাওয়া ঝড়-বৃষ্টির কারণে ফেরি চলাচল ৩ ঘণ্টা ব্যাহত হয়। এতে ফেরিঘাট এলাকায় যানবাহনগুলো জমতে থাকে। এ ছাড়া মানুষের চাপ তো রয়েছেই। ঈদে ঘরে ফেরা মানুষসহ ছোট যানবাহন সকাল ৭টার পর থেকে ছোট ইউটিলিটি ও কে-টাইপ ৪টি ফেরি দিয়ে পার করা হচ্ছে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজির হাট নৌরুটে ছোট-বড় ২০টি ফেরি রয়েছে।
এদিকে যাত্রীরা জানান, ঈদ ঘনিয়ে আসায় আগেভাগেই তারা স্বজনদের সাথে ঈদ করতে বাড়ি ফিরছেন। যাত্রাপথে অতিরিক্ত ভাড়া দেওয়া ছাড়া আর কোনো সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না তাদের।
মফিজুল নামের একজন যাত্রী জানান, লকডাউনে কাজ নেই। তাই ঢাকা বসে না থেকে বাড়িতে যাচ্ছি। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করে ফিরব।
সিদ্দিকুর রহমান আকন্দ নামের একজন জানান, সামনে ভিড় আরও বাড়বে এই ভেবে আগেভাগেই পরিবারের সবাইকে নিয়ে গ্রামে যাচ্ছি। ঢাকা থেকে আসতে কোনো চেকপোস্ট পাইনি। নেই পুলিশও। শুধু ভাড়াটা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। আর কোনো সমস্যা নেই।
ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাম হোসেন জানান, সকাল থেকে প্রাইভেটকারের চাপ রয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহন ও যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে। এখন ঘাট এলাকায় ৫ শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
নদী বন্দর / জিকে