তীব্র সংকটে বাগেরহাটের উপকূলে পানির চাহিদা মেটাচ্ছে মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সরবরাহ করা হচ্ছে সুপেয় পানি। শত শত নারী, পুরুষ ও শিশু কলস, ড্রাম ও বোতলসহ বিভিন্ন রকম পাত্রে পানি নিতে আসছেন প্ল্যান্টে। রমজানে বিনামূল্যে সুপেয় পানি পেয়ে খুশি স্থানীয়রা।
সারি সারি কলস, পাতিল, বোতলের দীর্ঘলাইন। খাবার পানির জন্য ভোরে দুই থেকে তিন কিলোমিটার দূর থেকে মানুষ আসেন মোরেলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে। এখানেই মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মাধ্যমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সরবরাহ করা হচ্ছে সুপেয় পানি।
দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টি আর খরার কারণে শুকিয়ে যায় বাগেরহাটের উপকূলের পাঁচটি উপজেলার বেশির ভাগ পুকুর। ফলে পানি সংকটের পাশাপাশি পানিবাহিত রোগের প্রকট দেখা দেয় এলাকায়। এ অবস্থায় জেলা প্রশাসন ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের যৌথ উদ্যোগে ছয়টি মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট দিয়ে পানি সরবরাহ শুরু করে। পানি পেয়ে খুশি সাধারণ মানুষ।
এলাকাবাসী জানায়, পুকুরের পানি গন্ধ, নদীর পানি লবণাক্ত ব্যবহার উপযোগী না। সে জন্য এখান থেকে পানি নিয়ে ব্যবহার করি।
সিডর আইলা বিধ্বস্ত শরণখোলায় একটি , মোংলায় দুটি ও মোরেলগঞ্জে দুটি মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ঘণ্টায় ৬০০ লিটার পানি সরবরাহ করছে। পানির চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন প্লান্টের কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
প্লান্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জানান, পানির চাহিদা অনেক বেশি। সে পরিমাণ চাহিদা আমরা দিতে পারি না। বৃষ্টি না হওয়ায় পানির চাহিদা বেড়েই চলেছে।
জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, যত দিন পানির চাহিদা থাকবে তত দিন সরবরাহ করা হবে।
বাগেরহাট জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এফএম ইসমাইল হোসেন বলেন, মোরেলগঞ্জে দুটি মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ঘণ্টায় ৬০০ লিটার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। যত দিন চাহিদা থাকবে পানি সরবরাহ করা হবে।
গত ৮ দিনে তিন উপজেলায় প্রায় তিন লাখ লিটার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হয়েছে।
নদী বন্দর / এমকে