স্থানীয় বাজারে দাম না পেলেও পাল্প, জুসসহ নানা পণ্য তৈরির কারখানায় সরবরাহ করে লাভবান হচ্ছেন রাজশাহী অঞ্চলের গুটি জাতের আম চাষিরা। দেশে-বিদেশে আমের তৈরি বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের চাহিদা বাড়লেও গ্যাস সংযোগ না থাকায় বাজার ধরে রাখতে পারছে না সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
কাঁচামালের সহজলভ্যতায় ওই অঞ্চলে গ্যাসভিত্তিক জ্বালানি সংকট দূর করতে সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।
সরকারি নির্দেশনা মেনে গাছ থেকে আম নামাতে ব্যস্ত বাগান মালিক ও শ্রমিকরা। খোলা বাজারে বিক্রির পাশাপাশি এসব আমের একটি অংশ যাবে বাগানের কাছাকাছি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য তৈরির কারখানায়।
আম বাগানের মালিকেরা জানান, খিরসা, গোপালভোগ বা ফজলি এ ধরনের আম আমরা বাইরে বাজারজাত করি। গুটি বা ছোট সাইজের আমগুলো সাপ্লাই দিয়ে দেই।
কারখানায় আসার পর কয়েক ধাপের মান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তা দিয়ে তৈরি করা হয় আচার ও জুস তৈরির উপকরণ পাল্প।
এ প্রসঙ্গে প্রাণের কোয়ালিটি কন্ট্রোল ম্যানেজার আবদুল হালিম বলেন, আমরা সবধরনের আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলি।
দেশে-বিদেশে জুসসহ প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের চাহিদা বাড়ছে বছর বছর। তবে, উৎপাদন খরচ বেশি পড়ায় বাজার ধরতে পিছিয়ে পড়ছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। তাদের দাবি, গ্যাস সংযোগ পেলে উপকরণ তৈরির বর্তমান খরচ নেমে আসবে অর্ধেকের নিচে।
অঞ্চলভিত্তিক শিল্প কারখানা সম্প্রসারণে বিদ্যমান সংকট দূর করতে সরকারকে দূরদর্শী নীতি-কৌশল নিয়ে কাজ করার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।
এ বিষয়ে অধ্যাপক এম আবু ইউসুফ বলেন, এখন সারাবিশ্বেই গ্যাসের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। লিকুইড গ্যাস ব্যবহারের কথা এখন বেশি বেশি চিন্তা করতে হবে।
এই অঞ্চলে আম টমেটোসহ নানা জাতের কৃষিপণ্যের উৎপাদন বাড়লেও এসব পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে যুক্ত বড় কোন প্রতিষ্ঠান গড়ে না ওঠায় একদিকে কৃষকরা যেমন বাজার প্রতিযোগিতার সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তেমনি দেশে-বিদেশে বাজার ধরতে হিমশিম খেতে হচ্ছে এসব পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
নদী বন্দর / বিএফ