আগামীর যুদ্ধটা হবে সাইবারে। কতটা প্রস্তুত আমাদের যোদ্ধারা- এই মূলভাবনা নিয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম সাইবার থ্রিলার চলচ্চিত্র ‘অন্তর্জাল’। আইসিটি বিভিাগের উদ্যোগে নির্মিত এ চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করবেন জনপ্রিয় নির্মাতা দীপংকর দীপন।
সম্প্রতি একটি চ্যানেলের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এই চলচ্চিত্রটির ঘোষণা দেন বাংলাদেশের তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমে্দ পলক। এরই ধারাবাহিকতায় শুরু হয়েছে চলচ্চিত্র শুটিং চুড়ান্ত প্রস্তুতি।
বাংলাদেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপান্তর ও সাফল্য তুলে ধরার পাশাপাশি সবার জন্য বিনোদনধর্মী হিসাবে সফল হ্বার প্রত্যয় নিয়ে সিনেমাটি তৈরি হচ্ছে বলে জানান পরিচালক দীপন।
কানাঘুষা চলছিলো আগে থেকেই এই চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করবেন সিয়াম আহমেদ। অবশেষে সেটাই সত্যি হলো। গত ৭ জুন সন্ধ্যায় এই চলচ্চিত্রের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মোশন পিপল স্টুডিওসের অফিসে সিয়াম আহদেমের সঙ্গে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্জালের প্রযোজক মোহাম্মদ আলী হায়দার ও সাদেকুল আরেফিন এবং সহ. প্রযোজক শাহ আমীর খসরু। সেই সাথে ছিল টিম অন্তর্জালের অনেকেই।
এ ছবিটির সার্বিক সহযোগিতায় আছে স্পেলবাউন্ড লিও বার্নেট। এখানে সিয়াম আহমেদের চরিত্রের নাম লুমিন যে কিনা রাজশাহীর একজন তরুণ কম্পিউটার প্রোগ্রামার। চাকরির জন্য সিভি নিয়ে অন্যের কাছে না ঘুড়ে নিজেই একটি স্টার্ট আপ বানিয়ে অন্যদের চাকরি দেয়ায় বিশ্বাস করে আইটি জিনিয়াস লুমিন। তবে চরিত্রটি সরল নয়, একটু জটিল মনস্তত্বের।
পরিচালক দীপন জানান, আগামী ২৪ জুন থেকে ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে চলচ্চিত্রটির প্রথম পর্বের শুটিং শুরু হবে। তিনি বলেন, ‘আইসিটি বিভাগের সাথে আমরা ২০১৯ এর নভেম্বর থেকেই কাজ শুরু করেছি। চলচ্চিত্রে খুব জটিল টেকনিক্যাল বিষয়গুলো সহজভাবে তুলে ধরা এবং সাইবার ব্যবহারে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য আমরা খুব সাবধানে চিত্রনাট্য সাজিয়েছি। কাহিনী চিত্রনাট্য ও সংলাপে আমার সাথে আশা জাহিদ এবং সাইফুল্লাহ রিয়াদ কাজ করছে। দিনের পর দিন যশোর শেখ হাসিনা সফ্টওয়ার টেকনোলিজি পার্কে থেকে আমরা চিত্রনাট্য লিখেছি।
এই চলচ্চিত্রের প্রত্যেকটি চরিত্র বাস্তব কোন না কোন চরিত্র অবলম্বনে তৈরি। এজন্য আমাদের যথেষ্ট গবেষণার কাজ শুরু করতে হয়েছে।’
দীপন আরও জানান, পর্যায়ক্রমে চলচ্চিত্রটির বিভিন্ন চরিত্রের সাথে খুব শিগগিরই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। গল্পের প্রয়োজনে দেশের বাইরেও চলচ্চিত্রটির বিভিন্ন অংশের দৃশ্যধারণ করা হবে। তবে কোভিড পরিস্থিতির কারণে এখনই বলা যাচ্ছে না কোন দেশে শুটিংয়ের কাজ চলবে।
নদী বন্দর / জিকে