করোনার কারণে বেকার হয়ে পড়া মানিকগঞ্জের চরাঞ্চলের শ্রমিকরা কর্ম ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এখন বাদামের ভরা মৌসম হওয়ায় শ্রমিকের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। কাজ না থাকায় দীর্ঘ সময় যারা বেকার হয়ে অলস সময় কাটিয়েছেন তারা এখন বাদাম নিয়ে মহাব্যস্ত। কেউ জমি থেকে বাদাম তুলছেন কেউ পরিস্কার করে বস্তায় ভরছেন কেউবা হাটে বাজারে নেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করছেন।
নারী পুরুষ সমানতালে কাজে করে যাচ্ছেন। করোনার কারণে বছরজুরে চরাঞ্চলের শ্রমিকরা বেকার হয়ে দুঃসময় পর করেছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে তারা কলকারখানা, পরিবহন শ্রমিক, গার্মেন্টসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন বর্তমানে কোথাও কাজের চাহিদা নেই। মানিকগঞ্জের চরাঞ্চলের কৃষিকাজ তাদের বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি দিয়েছে।
হরিরামপুরের চরে বাদাম ক্ষেতে কাজ করতে আসা ফরিদপুরের নিজাম, হবি, মালেক সহ অনেকে বলেন, করোনার কারণে কোন কাজ নেই বাদাম খেতে কাজ করে ডাল ভাত খেয়ে বেঁচে আছি। এছাড়া ভালো ফলন হওয়ায় কৃষকরাও খুশি।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুর, দৌলতপুর ও শিবালয় উপজেলার চরাঞ্চলে এবার বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। আর এই বাদাম উত্তোলনে কৃষকের অতিরিক্ত শ্রমিকের প্রয়োজন হচ্ছে। নদীতে পানি বাড়ছে বর্ষার আগেই বাদাম উত্তলন করতে হবে। এ কারণে শ্রমিকদের মুজুরী ও কদর বেড়েছে।
বাদাম চাষী আব্দুল কাদের বলেন, ১৫ বছর যাবৎ বাদাম চাষের সাথে আছি। খরা আর বন্যায় ক্ষতি না হলে বাদাম চাষে বেশি লাভ। তিনি আরোও বলেন জমি ঠিকঠাক করে একবার বীজ বপন করা আর শেষে উত্তোলন করা। অন্য ফসলের মতো নিরানী কুরানী নেই। প্রতি বিঘায় ৭ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। ভালো বাদাম হলে ১২/১৪ হাজার টাকা বিক্রি করা যায়। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. শাহজাহান আলী বিশ্বাস বলেন বেলে-দোঁআশ মাটি বাদাম চাষের জন্য বেশ উপযোগী। যে কারণে জেলার চরাঞ্চলে বাদামের চাষ হয় বেশি। চলতি বছরে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বাদাম চাষ বেশি হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়ায় এবার বাদামের বাম্পার ফলন হওয়ায় বাদাম চাষিরা বেশ লাভবান।
নদী বন্দর / পিকে