করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় স্থানীয় প্রশাসনের ঘোষিত মোংলায় চলমান লক ডাউন বৃহস্পতিবার থেকে ৪র্থ দফায় আরও এক সপ্তাহের জন্য বাড়ানো হয়েছে। এর আগে তিন দফায় দেয়া লক ডাউনে করোনার উর্ধ্বগতি না কমায় আগামি ২৩ জুন পর্যন্ত লক ডাউনের এ সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। এর আগে হঠাৎ করে করোনা পরিস্থিতি অবনতি হলে গত ৩০ মে থেকে তিন দফায় কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে প্রশাসন।
এদিকে চলমান লক ডাউনের ১৯ তম দিনে কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে। সকাল থেকে ওষধের দোকান ছাড়া শহরের কাচা বাজার, মুদি ও অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ নদী পারাপারের খেয়া চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে। লোক ও যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে পাড়ার প্রবেশদ্বারগুলোতে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে। শহরে প্রবেশ মুখে পুলিশ ও আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ব্যাপক তল্লাশী চালান। বিনা প্রয়োজনে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। এদিকে কাচা ও মুদি বাজার প্রশাসন বন্ধ করে দেয়ায় প্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে আসা অনেকেই ভোগান্তিতে পড়তে দেখা যায়।
মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জীবিতেষ বিশ্বাস জানান, বর্তমানে এখানে করোনার গড় শনাক্তের হার প্রায় ৫৪ শতাংশ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার জানান, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় চলমান বিধি নিষেধ বৃহস্পতিবার থেকে ৪র্থ দফায় আরও এক সপ্তাহের জন্য বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে গত ৪৮ ঘন্টায় মোংলা বন্দরের চার নিরাপর্ত্তা কর্মী ও মোংলা ইপিজেড এর ৫ নিরাপত্তা কর্মীর শরীরে করোনা সনাক্ত হয়েছে। গত ১৫ ও ১৬ জুন মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সএ র্যা পিট এন্টিজেন্ট টেষ্টের মাধ্যমে ৫৩ জনের নমুনা পরিক্ষায় ২৯ জনের শরীরে করোনা সনাক্ত হয়। যা পরিক্ষা বিবেচনায় আক্রান্তের হার শতকরা ৫৫ ভাগ।
বুধবার করোনায় আক্রান্ত বন্দরের নিরাপর্ত্তা কর্মীরা হলেন, কামাল হোসেন,ইমান আলী,নাজমুল হোসেন,খবিয়ার রহমান। আর গেল মঙ্গলবার (১৫ জুন) করোনায় আক্রান্ত ইপিজেড এর নিরাপত্তা কর্মী হলেন,পরিতোষ, সোহেল রানা, মন্টু মন্ডল, অনুপ চন্দ্র সরকার ও সঞ্জয় মন্ডল। এর আগে গত রোববার ইপিজেডের জিনলাইট গার্মেন্টসথর টেকনিশিয়ান জিংয়াও কিন জুয়ানের (৩৩) করোনা শনাক্ত হয়।বৃহৎ দুটি প্রতিষ্ঠানের নিরাপর্ত্তা কর্মিদের করানা সনাক্ত হওয়ায়র ফলে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকিতে পড়েছে পুরো ইপিজেড ও বন্দরে কর্মকর্তরা।
নদী বন্দর / পিকে