ইরান সফরে গেছেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রাহমান আল থানি। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই তিনি তেহরানে আকস্মিক সফর করেছেন। সেখানে তিনি ইরানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। কয়েকদিন আগেই কাতারের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াশিংটন সফর করেছেন। খবর আল জাজিরার।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনা নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী আল থানি গত রোববার ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। তারা দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলাপ আলোচনা করেছেন।
এ সময় ইব্রাহিম রাইসি বলেন, দোহার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে তেহরান সব সময়ই সচেতন। দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতি জোর দিয়েছেন তিনি। রাইসি আরও বলেন, পররাষ্ট্র নীতিমালায় প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ককে সবচেয়ে গুরুত্ব দেবে তার প্রশাসন।
তিনি আল থানিকে আশ্বস্ত করেছেন যে, ইরান সব সময়ই তার প্রতিবেশী দেশগুলোর মঙ্গল কামনা করে থাকে। এর আগে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফের সঙ্গে কাতারের শীর্ষ কূটনীতিকরা সাক্ষাত করেছেন বলে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। সে সময় সর্বশেষ দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন এবং গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন সফরকালে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সঙ্গে সাক্ষাত করেন আল থানি।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই সাক্ষাতে দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক উন্নয়ন বিশেষ করে আফগানিস্তান, ইরান, সিরিয়া এবং ফিলিস্তিন ইস্যু পর্যালোচনা করেছেন।
ওই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে জিসিসিভূক্ত দেশ এবং ইরানের মধ্যে একটি মুক্ত ও স্বচ্ছ সংলাপের প্রয়োজনের ওপর জোর দিয়েছেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।