বৈরি আবহাওয়ার মাঝে সেন্টমার্টিন ফেরার পথে মিয়ানমার সীমান্তের নাইক্ষ্যংদিয়া চরে আটকেপড়া ট্রলারের যাত্রীরা দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা পর সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। তাদের উদ্ধারে যাওয়া তৃতীয় ট্রলারযোগে ফিরছে তারা। আটকেপড়া ট্রলারগুলো রাত ২টায় জোয়ারের পানিতে ছাড়া পাবার পর রওনা দেয় বলে জানিয়েছেন কোস্টগার্ড সেন্টমার্টিন স্টেশন কমান্ডার।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়ে ট্রলারটি যাত্রীসহ মিয়ানমার সীমান্তের নাইক্ষ্যংদিয়া চরে আটকে পড়ে। খবর পেয়ে তাদের উদ্ধারে যাওয়া অপর ট্রলারটিও চরে আটকে যায়। ভাটা ও বৈরি আবহাওয়ার কারণে ট্রলারগুলো আটকে গেলেও জোয়ারের পানিতে আবার তা সচল হবে বলে আশা করছিল সচেতন মহল।
প্রথমে আটকেপড়া ট্রলারের মাঝি মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, সবাই নিরাপদে আছে। সাগরে জোয়ার আসার পর অন্য ট্রলারের সঙ্গে আমিও রাত ২টায় সেন্টমার্টিনের দিকে অগ্রসর হই।
সেন্টমার্টিন বোট মালিক সমিতির সভাপতি মো. রশিদ আহমেদ বলেন, টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন আসার পথে যাত্রীবাহী ট্রলার চরে আটকেপড়ার খবরে তা উদ্ধারে অন্য দুটি ট্রলার ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমেদ বলেন, সন্ধ্যায় একটি যাত্রীবাহী ট্রলার সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে টেকনাফ পৌরসভার কাইয়ূক খালী (কে কে) পাড়া ঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। বৈরি আবহাওয়া ও ভাটার কারণে নৌপথের মিয়ানমার সীমান্তের কাছাকাছি নাইক্ষ্যংদিয়া চরে আটকেপড়ে। সেখানে ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়।
ওই ট্রলারে ৩০ থেকে ৩৫ জন যাত্রী ছিল জানিয়ে চেয়ারম্যান আরও বলেন, আটকেপড়া ট্রলারকে উদ্ধারে অপর একটি ট্রলার ঘটনাস্থলে গিয়ে তারাও একই দুর্ভোগে পড়েন। পরে তৃতীয় ট্রলার ঘটনাস্থলে যায়। রাত ২টায় জোয়ার আসার পর তিনটি ট্রলারই যাত্রীসহ সেন্টমার্টিনের পথে রওনা দেয় এবং ফজরের আজানের দিকে দ্বীপে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। সাগর বৈরি থাকায় ট্রলারগুলোকে বেশি বেগ পেতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মো. পারভেজ চৌধুরী জানিয়েছেন, ট্রলার দুটিকে উদ্ধারের জন্য কোস্টগার্ডের সহযোগিতায় আরও দুইটি ট্রলার পাঠানো হয়। উদ্ধার তৎপরতার পাশাপাশি যাত্রীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হয়েছিল। অবশেষে তারা নিরাপদে রওনা হয়েছে বলে জেনেছি।
নদী বন্দর / জিকে