মাগুরা জেলায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে আগাম জাতের সবজির আবাদ। অন্যান্য মৌসুমের তুলনায় বর্ষা মৌসুমে সবজির চাষ কম থাকায় কৃষক তুলনামূলক বেশি দাম পেয়ে থাকেন কৃষকরা। বর্ষা মৌসুমে তুলনামূলক উঁচু জমিতে জেলার কৃষকরা বর্ষাকালীন আগাম সবজি আবাদ করে বেশি লাভবান হচ্ছেন।
এ বছর জেলায় এক হাজার ১০ হেক্টর জমিতে আগাম বর্ষাকালীন সবজির আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারও ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগ।
সদর উপজেলার সাইত্রিশ গ্রামের সবজি চাষি সালাম বিশ্বাস বলেন, প্রতি বছরই আমরা আগাম বর্ষাকালীন সবজি আবাদ করে বেশি লাভবান হচ্ছি। বর্ষার সময় অধিকাংশ জামিতেই পানি ওঠে বিধায় সব জায়গায় সবজির আবাদ না হওয়ায় বাজারে সংকট থাকে।
যে কারণে বর্ষা মৌসুমে সবজির দামও থাকে বেশি। আমাদের এ অঞ্চলটা একটু উঁচু হওয়ায় এ সুযোগটা আমরা কাজে লাগাই। সবজির ভালো ফলন হলে অন্য সময়ের তুলনায় আমরা অধিক লাভবান হই। এ বছর আমি ৫০ হাজার টাকা খরচ করে এক বিঘা জমিতে শসা আবাদ করেছি। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকার সবজি বিক্রি করতে পারব।
পাইকার মো. মৃধা জানান, মৌসুমী সবজির যে বাজার দর থাকে তার চেয়ে আগাম বর্ষাকালীন সবজির দাম গড়ে কেজি প্রতি ১০-২০ টাকা বেশি থাকে। বর্ষাকালে বাজারে সবজি কম থাকায় দাম একটু বেশি থাকে। এ সময় যে কৃষকরা সবজি উৎপাদন করতে পারেন তারা অর্থনৈতিকভাবে বেশি লাভবান হন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামাণিক বলেন, প্রতি বছরই আগাম বর্ষাকালীন সবজি আবাদ করে অন্য মৌসুমের তুলনায় বেশি লাভবান হয়েছেন মাগুরার সবজি চাষিরা। যে কারণে প্রতি বছরই আগাম বর্ষাকালীন সবজির আবাদ বাড়ছে। গত বছর জাজিরায় ৭৮০ হেক্টর জমিতে আগাম বর্ষাকালীন সবজি আবাদ হয়েছিল।
এ বছর তা বৃদ্ধি পেয়ে এক হাজার ১০ হেক্টর হয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই আগাম সবজি আবাদ করেছেন কৃষক। ইতোমধ্যে বাজারে সবজিও আসতে শুরু করেছে। আগাম বর্ষাকালীন সবজির মধ্যে রয়েছে ধুন্দল, শসা, লাল শাক, লাউ, কাকরল ও বেগুনসহ নানান ধরনের সবজি রয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন এ কৃষি কর্মকর্তা।