1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
মাতারবাড়ী ‘গভীর সমুদ্রবন্দরে’ ভিড়ল প্রথম জাহাজ - Nadibandar.com
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩৯ অপরাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ১৫২ বার পঠিত

অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং ভৌগোলিক অবস্থানের কৌশলগত গুরুত্ব বিবেচনায় দীর্ঘদিন ধরে একটি গভীর সমুদ্রবন্দরের প্রয়োজন অনুভব করছিল বাংলাদেশ। সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে। প্রথমবারের মতো জাহাজ ভিড়েছে দেশের প্রথম ‘গভীর সমুদ্রবন্দর’ মাতারবাড়ীতে।

বন্দরে নোঙর করা মাদার ভেসেলটির নাম ভেনাস ট্রায়াম্প। পানামার পতাকাবাহী জাহাজটির ড্রাফট সাড়ে পাঁচ মিটার।

মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টা ২০ মিনিটে ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা জাহাজটি প্রথমবারের মতো ‘গভীর সমুদ্রবন্দর’ এলাকায় মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য নির্মিত জেটিতে প্রবেশ করেছে। প্রায় আড়াই ঘন্টা আগে গভীর সাগরে জাহাজটি আসার পর চট্টগ্রাম বন্দরের পাইলটরাই সেটিকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য নির্মিত জেটিতে নিয়ে আসেন।

বিষয়টি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দরের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন জহিরুল ইসলাম।

jagonews24

যদিও ২০২৫ সালের শেষ দিকে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর চালুর সময়সীমা নির্ধারিত আছে। তবে এর আগেই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণসামগ্রী আনা-নেওয়ার মধ্য দিয়ে আজ চালু হলো সমুদ্রবন্দরের চ্যানেলটি।

ভেনাস ট্রায়াম্প’ গত ২২ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার পেলাভুবন সিলেগন বন্দর থেকে মাতারবাড়ীর কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ নিয়ে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। জাহাজটি ২০০৯ সালে নির্মিত একটি জেনারেল কার্গো শিপ। এটি ১২০ মিটার লম্বা ও ৯ হাজার ৬৮০ টন ওজন ক্ষমতাসম্পন্ন।

মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে মোট ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা। এই প্রকল্পে ১২ হাজার ৮৯২ কোটি ৭৬ লাখ টাকার ঋণ দিচ্ছে জাপান। বাকি অর্থের মধ্যে সরকার দিচ্ছে দুই হাজার ৬৭১ কোটি ১৫ লাখ টাকা। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ দিচ্ছে দুই হাজার ২১৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা।

মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক এবং চট্টগ্রাম বন্দর সদস্য (প্রশাসন) মো. জাফর আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের অংশ হিসেবেই মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দরকে উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে আমরা ইতোমধ্যে উপকূলের উত্তরে মীরসরাই থেকে দক্ষিণে মহেশখালি-কুতুবদিয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরের সীমানা বৃদ্ধি করেছি। এ জন্য পোর্ট অব কল ধরা হবে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে। জাহাজ ভেড়া থেকে মাসুল আদায় পর্যন্ত সব কিছুই করবে চট্টগ্রাম বন্দর।’

jagonews24

তিনি বলেন, ‘মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দরে ৩০০ ও ৪৬০ মিটার দীর্ঘ দুটি টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। আট থেকে ১০ হাজার কনটেইনার পরিবহনের উপযোগী জাহাজ ভেড়ানো যাবে এই বন্দরে। ফলে বাংলাদেশ ছাড়াও আমাদের প্রতিবেশী যেসব দেশের বন্দর সুবিধা নেই তারাও মাতারবাড়ী বন্দর ব্যবহার করতে পারবে। এছাড়া কলকাতা ও সেভেন সিস্টার খ্যাত ভারতের রাজ্যগুলো আমাদের বন্দর ব্যবহারে দীর্ঘদিন ধরে আগ্রহ দেখাচ্ছে।’

মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের ধারণা যেভাবে এলো :

বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে এ যাবত জাপানের সবচেয়ে বড় উদ্যোগ ‘বিগ-বি বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্ট’। এর আওতায় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) মাতারবাড়ীতে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কোল জেটি করতে গিয়ে সেখানে একটি বাণিজ্যিক বন্দর নির্মাণের সম্ভাব্যতা দেখতে পায়। মাতারবাড়ী অঞ্চলে সমুদ্রের গভীরতা ১৫.৩ মিটার। তবে খনন শেষে প্রাথমিকভাবে মাতারবাড়ী চ্যানেলে সারাবছরই ন্যূনতম ১৮ মিটার গভীরতা পাওয়া যাবে। চ্যানেলের বাইরে সাগরের গভীরতা ৩০ মিটার। ফলে এ বন্দরে অনায়াসে বড় আকৃতির মাদার ভেসেল নোঙর করতে পারবে।

চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরে দুই দেশের মধ্যে বিগ-বি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মাতারবাড়ীতে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরই ফলশ্রুতিতে জাইকার অর্থায়নে নিপ্পন কোয়েই ও আমাদের স্থানীয় একটি ফার্মকে এই প্রকল্পের জন্য কনসালটেন্ট হিসেবে নিয়োগ করা হয়। ১৬ নভেম্বর থেকে বন্দরের চূড়ান্ত নকশা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে। ইনশাআল্লাহ ২০২৬ সালের মধ্যে আমরা বন্দর কার্যক্রম শুরু করতে পারব।’

নদী বন্দর / এমকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com