হঠাৎ দাম বেড়েছে রান্নার কাজে অতিপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পেঁয়াজের। এক সপ্তাহে ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। সূত্র মতে, চাহিদার তুলনায় বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কম। এই অজুহাতে ভোক্তার পকেট কাটছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট চক্র।
এবার মৌসুমে বেশ কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি হলেও এখন চড়া। পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর বিষয়ে বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ফলন ভালো হওয়ায় দেশি পেঁয়াজের কেজি সর্বনিম্ন ৩০ টাকায় নেমেছিল। এরপর কিছুটা বেড়ে ঈদের পরও ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে এখন দর উঠেছে ৬০-৭০ টাকায়।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী আড়তে সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা যায়। একই চিত্র রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল বাজারসহ প্রায় সবখানে।
যাত্রাবাড়ীতে পেঁয়াজ কিনতে আসা মামুন বলেন, এক লাফে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। ঈদ আগে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় পাওয়া যেতো। এখন সেই পেঁয়াজ ৭০ টাকা।
দাম বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে নাঈম হোসেন নামে এক ভোক্তা বলেন, একের পর এক পণ্যের দাম বেড়েই চলছে। সরকারের উচিত এসবের লাগাম টেনে ধরা।
হঠাৎ দাম বাড়ার বিষয়ে হিলি বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ। গত কয়েক মাস ধরে দেশি পেঁয়াজ দিয়ে ক্রেতাদের চাহিদা মেটানো হচ্ছিল। গত সপ্তাহে দাম ছিল ৩০-৩৫ টাকা। চলতি সপ্তাহে বেড়ে ৫০-৫৫ টাকা হয়েছে। এর মূল কারণ সরবরাহ কম। যত দিন যাচ্ছে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে। ভারত থেকে আমদানি শুরু হলে দাম স্বাভাবিক অবস্থায় আসবে। এছাড়া নয়।
তারা বলেন, মৌসুম শেষের দিকে হওয়ায় দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে। এতে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। মোকামে বিক্রির জন্য কৃষকরা আগে প্রতিদিন যে পরিমাণ আনতেন, তাতে পাঁচ ট্রাক হতো। এখন আসছে দুই ট্রাকের মতো।
নদীবন্দর/জেএস