উৎপাদন সংকট দেখিয়ে ভারত সরকার গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। তবে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ায় আবারও পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিল সে দেশের সরকার। পেঁয়াজ রফতানির অনুমতির তথ্য পাওয়ার পর হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানির জন্য আবেদন করেছেন। এদিকে নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহে পেঁয়াজ আমদানি হলে আড়তগুলোতে ফিরবে কর্মপ্রাণচাঞ্চল্যতা।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের মহাপরিচালক অমিত ইয়াদব স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়। রোববার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় প্রজ্ঞাপনের কপি দিয়ে পেঁয়াজ রফতানির বিষয়টি ভারতীয় রফতানিকারকরা বাংলাদেশি আমদানিকারকদের জানিয়েছেন।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি ও রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে উৎপাদন সংকট এবং অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। এতে ক্ষতির মুখে পড়তে হয় বাংলাদেশের পেঁয়াজ আমদানিকারকদের। তবে সাড়ে ৩ মাস বন্ধ রাখার পর সোমবার আবারও পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দেয় দেশটির সরকার।
তিনি আরও জানান, রফতানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার পরই হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানির প্রস্তুতি নিয়েছেন। ইতিমধ্যে তারা আমদানি-রফতানির অনুমতির (আইপি) জন্য আবেদন করেছেন। আশা করছি, নতুন বছরে প্রথম সপ্তাহে দেশে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে।
নদী বন্দর / এমকে