সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ফুডসের (সেজান জুসের) কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও আহত শ্রমিক ও তাদের পরিবারকে আইএলও কনভেনশন ১২১ অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে সজীব গ্রুপ ওয়ার্কার্স জাস্টিস কমিটি।
সোমবার (১৬ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এ সময় কমিটির সভাপতি আবদুল মজিদ, সদস্য সচিব গােলাম ছরােয়ারসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনটি জানায়, এ অগ্নিকাণ্ড নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে সজীব গ্রুপ কর্তৃপক্ষের অনিয়ম উঠে এসেছে। আর ভবিষ্যতে অগ্নিকাণ্ড রােধে যে ২০টি সুপারিশ দিয়েছে, সেগুলােকে আমরা গঠনমূলক হিসেবে মনে করি।
তারা নিহত ও আহত শ্রমিক ও তাদের পরিবারকে আইএলও কনভেনশন ১২১ অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি হাসেম ফুডসে কর্মরত সকল শ্রমিকে বকেয়া বেতন, বকেয়া ওভারটাইমভাতাসহ তাদের প্রতি মাসের বেতন পরিশােধ করার দাবি জানায়।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নিহত শ্রমিক পরিবারের কোনো সদস্যকে সজীব গ্রুপের অন্য ফ্যাক্টরিতে চাকরি দেওয়ার বিষয় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন তদন্ত কমিটির সুপারিশ করেছে। এর পূর্বে সজীব গ্রুপের সকল কারখানায় বিপদজনক কর্মপরিস্থিতি, শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা, বাংলাদেশ শ্রমআইন এবং শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘন ও তাদের অপরাধমূলক অবহেলার বিষয় স্বচ্ছ তদন্ত করার জন্য পুনরায় সরকারের কাছে অনুরােধ করছি।
কমিটি বলছে, হাসেম ফুডসে অগ্নিকাণ্ডে এখনো শিশুসহ অনেক শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এ বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। শ্রমিকদের ব্যাপারে তদন্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, সজীব গ্রুপ ওয়ার্কার্স জাস্টিস কমিটি বাংলাদেশের খাদ্য ও কৃষি শ্রমিকদের ৮টি ইউনিয়নের প্রতিতিনিধি এবং হাসেম ফুডস লি. এর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভুক্তভােগী শ্রমিক, শ্রমিক পরিবারের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত। এই কমিটি সজীব গ্রুপের শ্রমিকদের ন্যায়বিচার পাওয়া নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
গত ৮ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা এলাকায় সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ৫২ জনের মৃত্যু হয়।
নদী বন্দর / সিএফ