নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে পালাতে গিয়ে বঙ্গোপসাগরে নৌকাডুবির ঘটনায় উদ্ধার হওয়া সাত রোহিঙ্গার মরদেহের পরিচয় মিলেছে।
এরা হলেন- ৫৪ নম্বর ক্লাস্টারের জি-১৪ নম্বর কক্ষের ওসমান গনির ছেলে রফিক (২৭), রফিকের মেয়ে রাজুমা (৫), ৫৩ নম্বর ক্লাস্টারের এল ৭-৮ নম্বর কক্ষের রশিদ আহম্মদের ছেলে আবুল বশর (৮), মেয়ে তছলিমা (৬), নুর কলিমা (২), ৫০ নম্বর ক্লাস্টারের সি ৭-৮ নম্বর কক্ষের আবদুর রহমানের মেয়ে নুর আয়শা (৩ মাস) ও ৫ নম্বর ক্লাস্টারের বি ৭-৮ নম্বর কক্ষের রহিম উল্যার মেয়ে নুর আইশা (২ মাস)।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টায় সুরতহাল শেষে মরদেহগুলোর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাত ৯টা ২০ মিনিটের সময় সন্দ্বীপ কোস্টগার্ডের সদস্যরা সাত রোহিঙ্গার মরদেহ ভাসানচরের পন্টুন ঘাট-১ এ নিয়ে আসেন। পরে ক্লাস্টারের হেড ফোকাল ও সহকারী হেড ফোকাল এবং নিখোঁজদের আত্মীয়-স্বজনদের সহায়তায় মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
এর আগে, সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় সন্দ্বীপের মগধরা ইউনিয়ন পরিষদের পাশে নদীতে একটি ও মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় আরেকটি শিশুর মরদেহের খোঁজ পেয়ে কোস্টগার্ডকে জানিয়ে যৌথ অভিযান চালায় সন্দ্বীপ থানা পুলিশ।
পরে সন্তোষপুর ইউনিয়ন ও বাউরিয়া ইউনিয়নের অদূরে নদীতে এবং মগধরা বেড়িবাঁধ এলাকাসহ আশপাশের নদী এলাকা থেকে সাতটি মরদেহ উদ্ধার করে তারা।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম জানান, নৌকাডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে জীবিত এবং ১১ জনকে মৃত উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর থেকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার ও নৌবাহিনীর জাহাজ বঙ্গোপসাগর এলাকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টায় কাঠের নৌকায় ভাসানচর থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ৩০-৪০ জন রোহিঙ্গা। পরে ভাসানচর থেকে আনুমানিক ১৫-২০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে চট্টগ্রামের কাছে বঙ্গোপসাগরে নৌকাটি ডুবে যায়।
নদী বন্দর / বিএফ