রাজবাড়ীর ৮৫ কিলোমিটার অংশে রয়েছে প্রমত্তা পদ্মা নদী। প্রতিবছর বর্ষায় বাড়ে এ নদীর পানি এবং প্লাবিত হয় নিম্নাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা। ফলে এসব এলাকার মানুষের দীর্ঘদিন পানিবন্দি থাকতে হয়, পড়তে হয় বিভিন্ন ভোগান্তিতে।
বুধবার (১৮ আগস্ট) সকালে রাজবাড়ী পাংশার সেনগ্রামে ১৪ ও গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পদ্মার পানি। ফলে নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এতে পানিবন্দির শঙ্কায় এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছর বন্যার শুরুতে প্লাবিত হয় জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া, দেবগ্রাম ও ছোট ভাকলা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা। এছাড়া বন্যার পানিতে প্লাবিত হয় রাজবাড়ী সদরের বরাট, মিজানপুর, চন্দনী, খানগঞ্জ এবং কালুখালীর রতনদিয়া, কালীকাপুর ও পাংশার হাবাসপুরের ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা। ওই সব এলাকার ফসলি জমি, বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যায়।
দেখা দেয় পানিবাহিত রোগসহ বিশুদ্ধ খাবার পানি ও গবাদিপশুর খাবার সংকট। এ সময় অসহায় ও দরিদ্র পরিবারগুলো মানবেতর জীবনযাপন করে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক জানান, দৌলতদিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করলেও এখনো কোনো কৃষি জমিতে পানি প্রবেশ করেনি। এ সময় পানি বৃদ্ধি হওয়া স্বাভাবিক।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সৈয়দ আরিফুল হক জানান, এখনো বন্যা দেখা দেয়নি। মাত্র পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করল। তবে বন্যার সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
নদী বন্দর / জিকে