যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে কৃষি বিপণন কেন্দ্র। কৃষি বিপণন কেন্দ্রে এই অঞ্চলের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই ও বিনা খাজনায় বিক্রয় করতে পারছেন। এই অঞ্চলে উৎপাদিত পণ্য অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই বিক্রি করতে পারায় লাভবান হচ্ছেন এই অঞ্চলের প্রান্তিক বা গ্রামাঞ্চলের চাষি।
জানা যায়, কৃষকদের কল্যাণের কথা চিন্তা করেই জেলার ঝিকরগাছা উপজেলায় দুইটি কৃষি পণ্য সংগ্রহ ও বিপণন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিদিন এলাকার ২০০ কৃষক তাঁদের উৎপাদিত পণ্য এই কেন্দ্রে বিক্রি করেন। এ কেন্দ্রে বিগত ছয় মাসে কৃষকরা এক কোটি টাকারও বেশি পণ্য বিক্রি করেছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বিষ মুক্ত সবজিতে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত বোধখানা গ্রামের কৃষক আলী হোসেন জানান, কৃষিপণ্য সংগ্রহ ও বিপণন কেন্দ্রের কারণে কৃষকের সুবিধা অনেক বেড়েছে। এ কারণে পণ্য বিক্রির জন্য পরিবহন খরচ যেমন লাগে না, তেমনি হাতের কাছে কেন্দ্র তাই ক্ষেত থেকে উঠিয়ে
উৎপাদিত কৃষি পণ্য ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করা যাচ্ছে নিয়মিত।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুদ হোসেন পলাশ জানান কৃষিপণ্য সংগ্রহ ও বিপণন কেন্দ্রে পণ্য পরিষ্কার করা, প্যাকেজিং, গ্রেডিংসহ নানা সুবিধা রয়েছে। বেজিয়াতলা কেন্দ্রে গত পাঁচ মাসে প্রায় কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন এলাকার কৃষকরা।
নিরাপদ উদ্যানতাত্বিক ফসল উৎপাদন ও সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি প্রকল্পের (এসএইচপিটিপি) পরিচালক ডক্টর শাহিনুল ইসলাম জানান, ঝিকরগাছা উপজেলার বেজিয়াতলা কৃষিপণ্য সংগ্রহ ও বিপণন কেন্দ্রটিতে কৃষকের আগ্রহ অনেক বেশি। প্রকল্পের গতি বেগবান করতে অফিস গুলোতে (ওএফএসএসআই) আরো সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হবে পর্যায় ক্রমে।
নদী বন্দর / বিএফ