উত্তাল পদ্মায় হবে সেতু, দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সাথে যুক্ত হবে পুরো দেশ, একটা সময় এটা শুধুই স্বপ্ন ছিলো। তারপর কাজে হাত দেয়ার পর শত জটিলতার মুখে বারবার পরিবর্তন হয়েছে পরিকল্পনা, বেড়েছে মেয়াদ, বেড়েছে বাজেটও।
তবে আরেক দফা মেয়াদ বাড়ানো হলেও ব্যয় বাড়াতে হবে না পদ্মা সেতুর কাজে। অর্থাৎ এখন পর্যন্ত বরাদ্দ করা প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকাতেই শেষ করা যাবে পদ্মা সেতুর কাজ। পাশাপাশি সেতুর কাজে ইচ্ছাকৃত কোনো বিলম্ব পাওয়া গেলে চীনের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করারও পরিকল্পনা করছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
শুরুতে ২০০৭ সালে পদ্মা সেতুর ব্যয় ধরা হয়েছিলো ১০ হাজার ১৬১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। তবে নকশা পরিবর্তন করে দৈর্ঘ্য বেড়ে যাওয়ায় ২০১১ সালে এ প্রকল্পের জন্য ২০ হাজার ৫০৭ কোটি ২০ লাখ টাকার অনুমোদন দেয়া হয়। ২০১৬ সালে আরেক দফা বেড়ে দাঁড়ায় ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। সবশেষ ২০১৮ সালের জুন মাসে বাড়ানো হয় আরও ১ হাজার ৪শ’ কোটি টাকা।
নদী শাসনের জন্য অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণ করতে শেষবার বাড়ানো হয় বরাদ্দ। মূল ডিপিপিতে ১ হাজার ৫৩০ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণের কথা। কিন্তু নদী থেকে যে বালি তোলা হচ্ছে পরিবেশগত নীতিমালা মেনে তা নদীতে না ফেলে অন্যত্র জমিয়ে রাখার জন্য অতিরিক্ত এ ভূমির প্রয়োজন হয়।
এবার আরেকদফা বাড়তে যাচ্ছে প্রকল্পের মেয়াদ। তবে এর জন্য বাড়তি কোন বাজেট প্রয়োজন হবে না বলে নিশ্চিত করেছেন পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন নিয়েছি। ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়াই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ব্যয় বৃদ্ধির কোন ইঙ্গিতও নেই।’
এখন পর্যন্ত পুরো প্রকল্পের বাজেট ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে মূল সেতুর জন্য বরাদ্দ ১২ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা।
নদী বন্দর / পিকে