সন্ধ্যা নদীর ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপের দাবিতে বরিশালের উজিরপুরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের দাশেরহাট বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে শত শত নারী-পুরুষ অংশ নেন।
দাশেরহাট বাজার কমিটির সভাপতি দুলাল খানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ডা. দেলোয়ার হোসেন, ইউপি সদস্য হানিফ মোল্লা, শহিদুল ইসলাম, মনির হোসেন ও সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের সদস্য আনোয়ারা বেগম, শাহনাজ পারভিন, বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, রাহাত চৌকদার এবং জাহিদ হোসেন লালন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সন্ধ্যা নদীর অব্যাহত ভাঙনে ওই ইউনিয়নের ছয়টি গ্রামের প্রায় ৬০০ একর জমি সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন থেকে রক্ষা করা যায়নি মসজিদ, মন্দির, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পানের বরজ, ফসলী জমি, বসতবাড়ি ও দাশেরহাট বাজারের একাংশসহ বেশ কয়েকটি দোকান। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে নদী তীরের অসংখ্য পরিবার। এসব মানুষ ভাঙন অতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।
তারা বলেন, ভাঙন রোধে কোনো ব্যবস্থা না নিলে অচিরেই উজিরপুরের মানচিত্র থেকে গুঠিয়া ইউনিয়নের দাশেরহাট বাজার, হানুয়া, আশোয়ার, বান্না, রৈভদ্রাদী, নিত্যানন্দী ও কমলাপুর গ্রাম বিলুপ্ত হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে হানুয়া, বারপাইকা গ্রাম, আশোয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় , বড় বাড়ি জামে মসজিদ, হানুয়া মাদরাসা, কালীখোলা মন্দির নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
হুমকির মুখে কাকরাদাড়ী বেড়িবাঁধ, দাসেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমলাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হানুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হানুয়া দাখিল মাদরাসাসহ অসংখ্য বসতবাড়ি ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বরিশাল কার্যালয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জানান, উজান থেকে নেমে আসা পানিতে সন্ধ্যা নদীর ভাঙন তীব্র হয়েছে। ভাঙন রোধে প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে।
নদী বন্দর / জিকে