যুক্তরাষ্ট্রে আবারও স্কুলের ভেতর গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত চারজন। গুরুতর আহত এক শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বুধবার (৬ অক্টোবর) দেশটির টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের একটি হাইস্কুলে এ ঘটনা ঘটে। খবর এএফপির।
আর্লিংটনের সহকারী পুলিশপ্রধান কেভিন কোলবি জানিয়েছেন, ডালাস উপকণ্ঠে অবস্থিত টিম্বারভিউ হাইস্কুলে গুলি চালানোর ঘটনায় টিমোথি জর্জ সিম্পকিন্স নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েয়েছে। স্কুল থেকে পালানোর পর সিম্পকিন্স নিজেই পুলিশের কাছে ধরা দেন।
আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে প্রাণঘাতী আক্রমণসহ তিনটি অভিযোগ আনা হবে ওই তরুণের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা একটি পয়েন্ট ৪৫ ক্যালিবার বন্দুক উদ্ধার করেছে।
কোলবি বলেন, এটি কোনো উদ্দেশ্যহীন সহিংসতা নয়। এক ছাত্র লড়াইয়ের মধ্যে অস্ত্র বের করেছিল।
তিনি জানান, এ ঘটনায় তিন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে দুইজনের শরীরে গুলি লেগেছে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, আহত ১৫ বছর বয়সী এক শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে বাকিদের আঘাত গুরুতর নয়।
ওই ঘটনায় চতুর্থ এক নারীও আহত হয়েছেন। অন্তসত্ত্বা সেই নারীকে ঘটনাস্থলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সহিংসতার সময় দুই থেকে তিনটি গুলি চালানো হয়েছিল। গণমাধ্যমে প্রচারিত ছবিতে স্কুলটির আশপাশে বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে।
দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের তথ্য অনুসারে, ১৯৯৯ সালে কলোরাডোর কলম্বাইন হাইস্কুলে গণহত্যায় ১৩ জন নিহত হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলগুলোতে ২ লাখ ৫৬ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী বন্দুক সহিংসতার শিকার হয়েছে। এখানে ‘বন্দুক সহিংসতার শিকার’ বলতে ঘটনার ভুক্তভোগী, প্রত্যক্ষদর্শী অথবা গুলির ঘটনার পর স্কুল থেকে সরিয়ে নেওয়া ব্যক্তিদের বোঝানো হয়েছে।
মার্কিন পত্রিকাটির হিসাবে, যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৮ সালে ২৯টি ও ২০১৯ সালে ২৭টি স্কুলে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। দেশটিতে স্কুলে হামলার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে ২০১৮ সালের একটি ঘটনায়। ওই বছর ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডের একটি হাইস্কুলে এক সাবেক শিক্ষার্থীর গুলিতে ১৭ জন নিহত হন।
নদী বন্দর / সিএফ