যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় সিরিয়ায় নারী-শিশুসহ ২০১৯ সালে ৭০ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার (১৩ নভেম্বর) নিউইয়র্ক টাইমস তাদের প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরে।
নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে দায়েশ বা আইএস সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় গত ১৮ মার্চ পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।
প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ড্রোন জনবহুল এলাকায় হামলা চালায় এবং পরে আমেরিকান এফ-১৫ই জেট বিমান হামলা চালানো হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
সিরিয়ার বাঘুজে চালানো যুক্তরাষ্ট্রের এ হামলা ছিল আইএস জঙ্গিদের লক্ষ্য করে বেসামরিকদের লোকদের ওপর সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী প্রকাশ্যে সেটি কখনই স্বীকার করে না।
মার্কিন সামরিক বাহিনী ‘বিপর্যয়কর’ বোমা হামলাকে গোপন করেছিল এবং প্রতিবেদন দেরিতে দেয় যেখানে কমানো হয় মৃতের সংখ্যা, এমন অভিযোগও আছে।
জিন টেট নামে একজন সাবেক নৌ কর্মকর্তা যিনি প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ও জাতীয় সন্ত্রাস দমন কেন্দ্রের সাথে বেসামরিক বিশ্লেষক হিসাবে কাজ করেন, তিনি এটির সমালোচনা করেছিলেন এবং তাকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল।
টেট টাইমসকে বলেন, নেতৃত্ব কেবল এটিকে কবর দেওয়ার জন্য প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে। কেউ এর সাথে কিছু করতে চায়নি। এটি আপনার সিস্টেমের ওপর বিশ্বাস হারায় যখন লোকেরা যা সঠিক তা করার চেষ্টা করে কিন্তু নেতৃত্বের অবস্থানে থাকা কেউ এটি শুনতে চায় না।
২০১১ সালে আরব বসন্তের ঢেউ লেগে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছিল। সেই সময় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বেশ কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর কাছে দেশের একটি বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ হারান। এরপর সেই যুদ্ধে একসময় বিদেশি শক্তিও ঢুকে পড়ে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
নদী বন্দর / সিএফ