কলকাতার অভিনেত্রী ও তৃণমূল যুব নেত্রী সায়নী ঘোষ। হঠাৎ করেই তাকে গ্রেফতার করেছিলো বিহারের পুলিশ। তবে একরাতের মধ্যেই জামিন নিয়ে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে এসেছেন তিনি।
যদিও তাকে দু’দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার আবেদন জানানো হয়েছিল। তবে শুনানি শেষে বিচারক জামিন দিয়েছেন সায়নীকে।
জামিন পাওয়ার পর সায়নী আবারও স্বমহিমায়। অভিযোগ করলেন ত্রিপুরায় বিজেপির অপশাসন নিয়ে। তিনি বলেন, ‘ত্রিপুরায় অপশাসন চলছে। মানুষ দেখছেন। মানুষ বিচার করবেন। পুলিশ, সিআরপিএফ দিয়ে টার্গেট করা হচ্ছে।’
গতকাল ২২ নভেম্বর বিকেল পৌনে ৫টা নাগাদ তৃণমূল যুব নেত্রী সায়নী ঘোষকে আগরতলা আদালতে পেশ করা হয়। তার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছিল। সায়নীর বিরুদ্ধে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে কুরুচিকর মন্তব্য করারও অভিযোগ আনা হয়েছিল।
গতকালই পুলিশ এসে সায়নীকে হোটেল থেকে নিয়ে যায়। সায়নীকে থানায় বসিয়ে রেখে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এরপর তাকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন আদালতে পুলিশ সায়নীকে আরও দু’দিন নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন করে। কিন্তু বিচারক তা খারিজ করে দেন।
তৃণমূল পাশে আছে সায়নীর। তাদের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবেই প্রচারের কাজ বানচাল করতে প্রশাসনের সায়নীকে আটকে রাখার চেষ্টা করেছেন। আগামী ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরায় পৌরসভার ভোট। আজ মঙ্গলবার ভোটের প্রচারের শেষ দিন। সেইমতো সোমবার ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ছিল।
সেই সভার কাজ বানচাল করতেই পরিকল্পনা করেই সায়নীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, দাবি তৃণমূলের।
নদী বন্দর / জিকে