ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বিরতিহীন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে জনজীবন। এর প্রভাব পড়েছে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। নদী পারের অপেক্ষায় তৈরি হয়েছে যানবাহনের দীর্ঘ সিরিয়াল।
এছাড়া অসময়ের এ বৃষ্টিতে বিশেষ করে খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষ এবং চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। বৃষ্টিতে ঠান্ডা ও রাস্তার পাশে জমে থাকা পানিতে পথচারীদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় লোড আনলোডে সময় বেশি লাগছে। ফলে দৌলতদিয়া প্রান্তের প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়কে যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকের সিরিয়াল তৈরি হয়েছে। বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে।
এদিকে বৃষ্টিতে ঠান্ডার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না মানুষ।
পথচারী অলিউর রহমান বলেন, বাসায় বাজার নেই। তাই বাজার করতে বের হয়েছেন। রাস্তায় যানবাহন কম থাকায় গন্তব্যে যেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
রিকশাচালক আজাদ মিয়া বলেন, একদিন রিকশা না চালালে সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়ে। এছাড়া কিস্তির ঝামেলা আছে। তাই বাধ্য হয়ে বৃষ্টি ও শীত উপেক্ষা করে বাইরে বের হয়েছেন।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট সহকারী ব্যবস্থাপক খোরশেদ আলম জানান, বর্তমানে এ রুটে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে ঘাটের রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় লোড আনলোডে সময় বেশি লাগছে। যার কারণে দৌলতদিয়া প্রান্তে সিরিয়াল হয়েছে। তবে যাত্রীবাহী পরিবহন কম এবং পণ্যবাহী ট্রাক বেশি।
নদী বন্দর / জিকে