দেশে শহরায়ন দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে দেশে ছাদবাগান আগের চেয়ে বাড়ছে। শখে কিংবা প্রয়োজনে অনেকেই ছাদবাগানের প্রতি ঝুঁকছেন।
অন্যদিকে আধুনিক নগর জীবনে একটু প্রশান্তির ছোঁয়া এনে দিতে পারে ছাদবাগান। সারাদিনের ক্লান্তি মুহূর্তেই মুছে যাবে পারে ছাদবাগান কিছু সময় পার করলে। তবে ছাদ বাগানে সফলতা পেতে হলে বেশ কিছু বিষয়ে নজর দিতে হবে।
ছাদে প্রায় সব ধরনের গাছ লাগানো যায়। ছোট-বড় বিভিন্ন আকারের গাছ আজকাল দেখা যায়। ফলের ভেতর পেয়ারা, আপেল, লেবু, আম আবার ফুলের ভেতর কসমস, সালভিয়া, ডালিয়া, চন্দ্রমুখী, সূর্যমুখী ইত্যাদি দেখা যায়। শীতকালে পিটুনিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, সালভিয়া ইত্যাদি ফুল দেখা যায় বেশি। এ ধরনের ফুলগুলো শুষ্কতায়ও সতেজ থাকে।
মাটির টব অথবা প্লাস্টিকের বোতল অথবা বালতিতে গাছ লাগানো যায়। গাছে পানি দেওয়ার আদর্শ সময় ভোরে অথবা সন্ধ্যায়। নার্সারিগুলোতে ছাদবাগানের উপযোগী বিভিন্ন রকমের গাছের চারা, সার, কীটনাশক ইত্যাদি পাওয়া যায়। ছাদবাগানের যত্নও নিতে হবে নিয়ম মেনে। জেনে নিন কৃষি গবেষকদের পরামর্শ।
ছাদে ঝোপজাতীয় গাছ লাগানো উচিত নয়। নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। জলছাদে বাগান করা গেলে ভালো। খেয়াল রাখতে হবে যেন মূল ছাদবাগানের কারণে ড্যামেজ হয়ে না যায়। খুব ভোরে অথবা সন্ধ্যায় গাছে পানি দিতে হবে। তবে এমন অনেক গাছ আছে যেসব গাছে পানির দরকার নেই।
ঋতু অনুযায়ী গাছ নির্বাচন করতে হবে। টবের ভেতর যেন পানি জমে না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। তাই টবের নিচে ছিদ্র রাখতে হবে, যাতে সহজে পানি বেরিয়ে যেতে পারে।
পোকামাকড় দমনে খেয়াল রাখতে হবে। পোকামাকড় হলে কৃষি বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলতে হবে। ছাদে দীর্ঘস্থায়ী বাগানের বেড পদ্ধতিতে বাগান করাই ভালো। রাসায়নিক সার প্রয়োগ না করাই ভালো। চেষ্টা করতে হবে জৈব সার দিয়ে চাষাবাদ করতে।
নদী বন্দর / বিএফ