লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের চরবসু গ্রামে ভুলুয়া নদীর ওপর নির্মিত সেতুর বেহাল দশা বিরাজ করছে। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে রেলিং ভেঙে বর্তমানে চলাচল অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে সেতুটি।
এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ চলাচল করে। বিকল্প না থাকায় নিরুপায় হয়ে এলাকাবাসী ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতু দিয়ে পারাপার হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলা ও নোয়াখালীর জেলার সংযোগ সড়ক চরবসু এলাকায় অবস্থিত ভুলুয়া নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি বেহাল অবস্থায় রয়েছে। প্রায় দুই যুগ আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সেতুটি নির্মাণ করে।
স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে সেতুটি। প্রায় ৩ বছর আগে সেতুটির ৬-৭টি স্থানে পাটাতন ভেঙে গেছে, রেলিংও ভেঙে গেছে বহু আগে। ভাঙা স্থানে কাঠের গুড়ি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে কোনোমতে চলাচল করছেন এলাকাবাসী। জরাজীর্ণ এ সেতু দিয়ে বর্তমান বড় ধরনের কোনো যানবাহন চলছে না। তবে শতশত ছোট যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
সেতুর পাশে সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের শতাধিক ঘরের বাসিন্দা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থী ও যাত্রীরা প্রতিনিয়ত এ সেতু পারাপারে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। একইসঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ ও নির্মাণসামগ্রী নিয়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন দুই পাড়ের বাসিন্দারা।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর লক্ষ্মীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহ আলম পাটওয়ারী বলেন, ভুলুয়া সেতুতে ঝুঁকিপূর্ণ চলাচলে দুর্ভোগে রয়েছে মানুষ। ওই স্থানে একটিসহ নতুন দুটি সেতু নির্মাণের প্রস্তাবনা অনুমোদনের পর ৪ কোটি টাকার টেন্ডার প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে। খুব শিগগিরই কাজ শুরু হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
নদী বন্দর/এসএফ