হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযানে শেরপুর জেলায় ১০১টির মধ্যে ৪২টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে গতকাল শনিবার দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাসহ জেলা পুলিশের অভিযানিক দল অংশগ্রহণ নেয়।
আজ রবিবার সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শেরপুর জেলাজুড়ে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্যবিভাগের অভিযানে ১০১টির মধ্যে ৪২টি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তন্মধ্যে শেরপুর সদরে সদরে ২৬, শ্রীবরদী ৬, নালিতাবাড়ী ৫, ঝিনাইগাতী ৩ ও নকলা উপজেলায় ২টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে।
অভিযানে এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে কোনো বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তাৎক্ষণিক সেগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এসময় যে সকল প্রতিষ্ঠানের কাগজের মেয়াদ উত্তীর্ণ রয়েছে, তাদের নবায়নের জন্য আগামী ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে।
শেরপুর সদরে বন্ধ ঘোষিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর অধিকাংশই শহরের নারায়ণপুর এলাকার জেলা সদর হাসপাতালের আশপাশে গড়ে ওঠা। সেগুলো হলো- হাজী নিয়ামত উল্লাহ জেনারেল হাসপাতাল, আল বারাকা প্রাইভেট জেনারেল হাসপাতাল, নিরাপদ জেনারেল প্রাইভেট হাসপাতাল, সততা হাসপাতাল প্রাইভেট লি., সাফা জেনারেল প্রাইভেট হাসপাতাল, জননী জেনারেল প্রাইভেট হাসপাতাল, শেরপুর চক্ষু হাসপাতাল অ্যান্ড ফ্যাকো সেন্টার, একতা স্পেশালাইজড হসপিটাল, শেরপুর ইবনে সিনা জেনারেল প্রাইভেট হাসপাতাল, শেরপুর নিউ লাইফ জেনারেল হাসপাতাল, আল মদিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, শিরিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার, শেরপুর ইনসাফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নেক্সাস ডায়াগনস্টিক সেন্টার, গ্রীন লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বাংলাদেশ ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মমতাজ ডায়াাগনস্টিক সেন্টার, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, খান ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আর এইচ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সিদ্দিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সেন্ট্রাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, শাহাজালাল হেলথকেয়ার প্যাথলজিক্যাল ল্যাব, দারুস শিফা ইসলামিয়া জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা ল্যাব বাগবাড়ি, প্রযুক্তি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নাজাত ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার নারায়নপুর শেরপুর।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য্য বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে, কিন্তু দাপ্তরিক দীর্ঘসূত্রিতার কারণে তা প্রক্রিয়াধীন আছে তারা এ অভিযানের আওতামুক্ত থাকবে। কিন্তু যারা ন্যুনতম কোনো অনুমোদনের পরোয়া না করে ব্যবসা করছেন তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অনিবন্ধিত সব অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে গত বৃহস্পতিবার (২৬ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সারাদেশে নিবন্ধনহীন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দেয়।
নদী বন্দর/এসএফ