নীলফামারীতে বিপৎসীমা ছুঁয়েছে তিস্তার পানি। উজানের ঢলে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫২ দশমিক ৬০ মিটার বরাবর প্রবাহিত হচ্ছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে আজ সকাল ৬টায় নদীর পানি বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এরপর সকাল ৯টায় ৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমা ছুঁয়ে ফেলে।
পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার ডিমলা উপজেলার তিস্তাবেষ্টিত টেপাখড়িবাড়ি, পূর্ব ছাতনাই, খালিশাচাপানী, খগাখড়িবাড়ি, ঝুনাগাছ চাপানী ও গয়াবাড়ি ইউনিয়নের প্রায় ১৫ গ্রামের দেড় সহস্রাধিক পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।
ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ময়নুল হক জানান, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমার ইউনিয়নের প্রায় এক হাজার পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। পানির তোড়ে আজ সকালে স্বপন বাঁধের প্রায় ৫০ মিটার ভেঙে গেছে। এতে ভাটিতে থাকা মসজিদপাড়ার ১৪০টি পরিবারের বাড়িঘরে পানি উঠেছে।
পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন, সকাল থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এতে করে ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেশ্বর, পূর্ব ছাতনাই ও খোকার চরের ৫ শতাধিক পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত ছিল।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসাফউদ্দৌলা বলেন, উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বৃহস্পতিবার বিপৎসীমা বরাবর প্রবাহিত হতে থাকে। সব কয়টি (৪৪টি) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
নদী বন্দর/এসএফ