কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় গত এক সপ্তাহে হলহলি নদীর তীব্র ভাঙনে সাতটি বসতবাড়িসহ কৃষিজমি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের চর টাপুরচর মুকতলা গ্রামের আকবর আলী, আবুল কালাম, আব্দুল জলিল মামুন ও মুসার পরিবারসহ প্রায় ১৫টি পরিবার নদীভাঙনের শিকার হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে বাস করছেন। নদীভাঙন রোধে স্থানীয়রা এক মানববন্ধন করেছেন নদীর কিনারে। জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপিও দিয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে চর টাপুরচর গ্রামগুলো ঘুরে দেখা যায়, হুমকির মুখে রয়েছে চর টাপুরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিক, মসজিদ, মাদ্রাসা, ঈদগা মাঠ, পাকা সড়ক, বাজার ও ফসলি জমি| দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ৫০টি বসতবাড়িসহ এসব প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। নদীর কিনারে বসবাসরত মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক।
টাপুরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজিবর রহমান বলেন, যেভাবে নদী ভাঙছে তাতে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পাকা রাস্তা ও বিদ্যালয়টিও ভেঙে যাবে। দ্রুত নদীর ভাঙন এলাকায় বাঁশের বান্ডেল ও জিও ব্যাগ ফেলা হলে ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
স্থানীয় নওসাদ আলী বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার নদীভাঙনের কবলে পড়ে উদ্বাস্ত্ত হয়ে যাওয়া এসব পরিবারের একটি বড় অংশ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরের বস্তিতে বসবাস করছে। উদ্বাস্ত্ত পরিবারগুলোর পুনর্বাসন ও নদীভাঙন রোধ না করলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ঐ এলাকাটি মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নদীভাঙনের শিকার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কয়েক দিনে আমার ফসলি জমিসহ বসতবাড়ি নদীতে ভেঙে গেছে| থাকার জায়গাটুকুও নেই। আমি নদীভাঙন রোধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের চর টাপুরচর মুকতলা গ্রামের ভাঙনের বিষয়টি ইতিমধ্যে জেনেছি। আগামী দুই-এক দিনের মধ্যেই সরেজমিনে পরিদর্শন করে নদীভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।
নদী বন্দর/এসএইচ