জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, দেশে নারীদেরও এখন অপহরণ করা হচ্ছে। হতভাগ্য নারীদের কেউ ফিরে আসছেন আবার কেউ চিরদিনের মতো হারিয়ে যাচ্ছেন। বিদেশি গণমাধ্যমে এমন সংবাদে দেশের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। এ দেশে এখন আর গণতন্ত্র নেই।
দেশের মানুষের কোনো অধিকার নেই। দেশের কোথাও জবাবদিহিতা নেই।
আজ শনিবার দুপুরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কয়েকজন নেতাকর্মী তার হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। এ সময় তিনি একথা বলেন।
গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, জাতীয় পার্টি সম্পর্কে অনেকের ভুল ধারণা আছে। জাতীয় পার্টি কখনোই আওয়ামী লীগের বি-টিম নয়। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশের মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে। তারা দেশের মানুষের সাথে মিথ্যাচার করে বলেছে, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টির শাসনামলের চেয়ে জনগণকে বেশি অধিকার দেওয়ার কথা হবে। আসলে, পল্লীবন্ধুর দেশ পরিচালনার সময় সাধারণ মানুষ যে অধিকার ভোগ করেছে, এখন তার ছিটেফোটাও নেই। এখন নির্বাচনের নামে প্রহসণ চলছে।
তিনি আরো বলেন, প্রজাতন্ত্রের মালিক হচ্ছেন দেশের সাধারণ মানুষ। অথচ তারা ইচ্ছেমতো প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারছেন না, এমনকি পছন্দ মতো না হলে প্রতিনিধি পরিবর্তনেও তারা আজ অপারগ। প্রতিনিধিদের সরকার পরিচালনায় জনগণের ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রতিফলন দৃশ্যমান নয়। এক কথায় জনগণ মালিক বা দেশ যে প্রজাতন্ত্র তা বাস্তবে অনুপস্থিত। দেশের ওপর সাধারণ জনগণের মালিকানা স্বত্ত্ব ছিনতাই হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ রাজনীতি ও ভোটের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। আমরা চাই প্রকৃত গ্রণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে। প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে দেশে জবাবদিহিতার পরিবেশ সৃষ্টি হবে, সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বৈষম্য দূরীকরণ, দুর্নীতির অবসান ও বেকারত্বের অভিশাপমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধশালী নতুন বাংলাদেশ গড়াই আমাদের রাজনীতি।
এ সময় বক্তব্য রাখেন পার্টির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুল হক চুন্নু, আতিকুর রহমান আতিক, মৌলভীবাজার জেলা আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন, সদস্য সচিব, মাহমুদ আলম মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ফখরুল ইমাম, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, নাজমা আখতার, মেজর অব. রানা মো. সোহেল, মোস্তফা আল মাহমুদ, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরীফা কাদের, হেনা খান, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান আদেল, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, আমির উদ্দিন আহমেদ ডালু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন তোতা, দপ্তর সম্পাদক-২ এম এ রাজ্জাক খান, কেন্দ্রীয় নেতা প্রিন্সিপাল মোস্তফা চৌধুরী, আলমগীর হোসেন, মো. আরিফুল ইসলাম রুবেল, মখলেছুর রহমান বস্তু, শামীম আহমেদ রিজভী।
যোগদানকারীর সাথে ছিলেন ইয়াকুব হোসেন, জহিরুল মোর্শেদ, জুবায়ের আহমেদ, এমদাদুল হক, সোহেল আহমেদ, শাহজাদী বেগম, খালেদা বেগম, ডলি আক্তার, মো. আল আমিন, জহির উদ্দিন ভূঁইয়া, শাহ কামাল, মোবাশ্বের আলী, শাবনুর।
নদী বন্দর/এসএইচ