1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
কে হচ্ছেন ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী - Nadibandar.com
শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৯ অপরাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২১ অক্টোবর, ২০২২
  • ৭৭ বার পঠিত

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস বৃহস্পতিবার পদত্যাগের ঘোষণা দেয়ার পর এখন কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। 

সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস এবং সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী পেনি মর্ডান্ট।  

লিজ ট্রাস টোরি নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাককে (৪২) হারিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। সরকারি ব্যয় হ্রাস না করে ট্যাক্স হ্রাস ও প্রবিধান সহজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দলীয় এমপিদের ভোটে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি।

তবে ঋষি সুনাক সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, অতিরিক্ত ঋণের মাধ্যমে প্রস্তাবগুলোতে অর্থায়ন করার জন্য তার পরিকল্পনা বেপরোয়া এবং কয়েক দশকের উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির পাশাপাশি যুক্তরাজ্যে বাজারের আস্থাকে আরও খারাপ করতে পারে।

এখন যেহেতু সুনাকের বক্তব্য সঠিক প্রমাণিত হয়েছে, তাই লিজ ট্রাসের নাটকীয় ঘোষণার পর এখন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাছাইয়ে এগিয়ে রয়েছেন সুনাকই।

দলের আইনপ্রণেতারা ট্রাসকে প্রধানমন্ত্রী করার আগে তিনি পরপর রাউন্ডের ভোটে সর্বাধিক সংখ্যক টোরি আইন প্রণেতাদের সমর্থন অর্জন করেছিলেন।

মঙ্গলবারের একটি নতুন ইউগভ জরিপে দেখা গেছে যে, সুনাক ট্রাসের বিকল্পগুলোর মধ্যে সেরা রেটিং পেয়েছেন, যদিও এখনও সামগ্রিক অনুকূল সমর্থনে তার অবস্থান রেটিং -১৮ তে।

পার্টির অনেক সদস্য, যারা সাধারণত বলে থাকেন যে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে (৫৮) ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষেত্রে সুনাকের ভূমিকার জন্য তাকে ক্ষমা করতে তারা রাজি নন।

কয়েক মাস বিতর্কের পর জনসনের দুর্বল সরকার থেকে সুনাক এবং অন্যদের পদত্যাগের কারণে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জনসন গত মাসের শুরুর দিকে তার মন্ত্রিসভা এবং টোরি এমপিদের মধ্যে বিদ্রোহের পর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

জনসনকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে যে, তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা করবেন- যদিও খুব সংখ্যকই ভেবেছিলেন যে সবকিছু এতো দ্রুত সম্ভব হতে পারে। 

ট্রাসের পদত্যাগের পর টাইমস রিপোর্ট করেছে যে, জনসন ভোটের মাধ্যমেই ফের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরিকল্পনা করছেন।

জনসন ব্রেক্সিটের জন্য কনজারভেটিভ এমপি এবং দলের একটি অংশের কাছে জনপ্রিয়। কিন্তু বৃহত্তর ভোটারদের মধ্যে তার ব্র্যান্ডটি কলঙ্কিত হওয়ায় তিন বছরের মেয়াদে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

একটি সাম্প্রতিক ইউগভ জরিপ দেখিয়েছে যে, জনসন লিজ ট্রাসের চেয়ে অনেক বেশি জনপ্রিয়। তবুও প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই তার সম্পর্কে একটি প্রতিকূল মতামত দিয়েছিল।

এদিকে, বেন ওয়ালেস প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসাবে সুনাম অর্জন করেছেন। রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

তবে সাম্প্রতিক কনজারভেটিভ পার্টির সম্মেলনে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে ভোটে দাঁড়ানোর কথা বিবেচনা করবেন কি-না, ৫২ বছর বয়সী বেন ওয়ালেস বলেছিলেন, ‘আমি একে অস্বীকার করি না।’

সেনাবাহিনীর সাবেক ক্যাপ্টেন হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ওয়ালেস একটি টহল দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, যেটা একটি বোমা হামলা চালানোর চেষ্টাকারী আইআরএ ইউনিটকে আটক করেছিল। প্যারিসে গাড়ি দুর্ঘটনার পর প্রিন্সেস ডায়ানার মরদেহ দেশে নিয়ে আসার সময় তিনিও তাতে অংশ নিয়েছিলেন।

এর আগে টোরি নেতা নির্বাচনে ঋষি সুনাক ছিলেন লিজ ট্রাস একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী। তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী এবং বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্য পেনি মর্ডান্ট (৪৯) পঞ্চম দফা ভোটেই প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়েন। আর বেন ওয়ালেস গতবারের টোরি নেতা নির্বাচনের লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। 

নদী বন্দর/এসএইচ

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com