ইতালিতে ভ্যাকসিন নিয়েছেন ১০৮ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা। বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের দলে নাম লিখিয়েছেন ফাতিমা নাগরিনি নামের এই নারী। তিনি যেখানে থাকেন সেই বৃদ্ধাশ্রম থেকে জানানো হয়েছে যে, কয়েক মাস আগেই তিনি করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সোমবার তিনি ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন।
আগামী জুনের ৩ তারিখে ১০৯ বছরে পা রাখবেন ফাতিমা নাগরিনি। মাত্তিও তেসারোলো নামের এক মুখপাত্র এএফপিকে জানিয়েছেন, তিনি মিলানে আন্নি আজুরি সান ফস্তিনো কেয়ার হোমের অন্যান্য বাসিন্দাদের সঙ্গে সোমবার ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন।
মাত্তিও তেসারোলো বলেন, কেয়ার হোমের সব অতিথি এবং স্টাফদের জন্য ভ্যাকসিন এসে পৌঁছানোর ঘটনাটি ছিল অত্যন্ত আনন্দময় একটি মুহূর্ত এবং এটি কেয়ার সেন্টারের অভ্যন্তরে আগের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার প্রথম পদক্ষেপ।
ইতালিতে গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে প্রথমবারের মতো ভ্যাকসিনের কার্যক্রম শুরু হয়। ইতোমধ্যেই দেশটিতে ১০ লাখ ১৫ হাজার মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। সোমবার ৯০ বছর বয়সী সামি মোদিয়ানাও ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে এখন পর্যন্ত বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় ৮ম অবস্থানে রয়েছে ইতালি।
করোনা মহামারির শুরুতে যে দেশগুলো এই ভাইরাসের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল তার মধ্যে অন্যতম ইতালি। এমনকি ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্যের পরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু দেখেছে ইতালি।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইতালিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৩ লাখ ৯০ হাজার ১০১। এর মধ্যে মারা গেছে ৮২ হাজার ৫৫৪ জন। দেশটিতে ইতোমধ্যেই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ১৭ লাখ ৬০ হাজার ৪৮৯ জন। দেশটিতে বর্তমানে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৫৮ জন। অপরদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে ২ হাজার ৫৪৪ জন।
বিশ্বের অনেক দেশই ইতোমধ্যেই করোনা ভ্যাকসিন প্রদান শুরু করেছে। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ভারত, ইতালি, ব্রাজিলে ইতোমধ্যেই লাখ লাখ মানুষ করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে। ধীরে ধীরে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নদী বন্দর / এমকে