বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, বাংলাদেশের রেশম শিল্পের সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন করে বিশ্বমানে রূপান্তরের জন্য সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে ।
রোববার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) মিলনায়তনে রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী রেশম পণ্যের প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, কম খরচে উন্নতমানের রেশম কাপড় তৈরি করার জন্য প্রযুক্তির উৎকর্ষ অপরিহার্য। প্রয়োজনে বিদেশ থেকে উন্নত প্রযুক্তি আনতে হবে। এই শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টদের বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি বলেন, বিদেশ থেকে আমদানি করা সূতার ওপর প্রায় ৬০ শতাংশ কর আরোপ করার পরও প্রতিযোগী দেশের সাথে পেরে উঠছি না। সুতরাং আমাদের প্রযুক্তিগত কোথাও না কোথাও ঘাটতি রয়েছে। আমাদেরকে সমস্যাগুলো খুঁজে বের করতে হবে। প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে সমস্যা অনুযায়ী সমাধানের চেষ্টা করতে হবে, যাতে আমরা বিদেশের চেয়ে ভালো মানের সূতা উৎপাদন করতে পারি।
মন্ত্রী আরও বলেন, রেশম ও তাঁত শিল্প বাঙালি জাতির ঐতিহ্য। বর্তমান সরকার এই শিল্পকে আধুনিক ও বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে কাজ করছে। রেশম শিল্প এবং রেশম চাষিদের ভাগ্যোন্নয়নে পরিকল্পনা প্রণয়ন করে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, দারিদ্র্য বিমোচন ও রেশম চাষিদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো উন্নয়নই বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য। এই শিল্পের ঐতিহ্য বিশ্বব্যাপী তুলে ধরতে এ শিল্পকে আধুনিকায়ন করা হবে। রেশমের সূতা উৎপাদনে প্রযুক্তির ব্যবহার তাঁত শিল্পকে অধিকতর মানসম্পন্ন করে তুলবে। এজন্য বেসরকারি খাতকে সাথে নিয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।
বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মু. আবদুল হাকিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম, এনডিসিসহ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, রেশম উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও বেসরকারি উদ্যোক্তারা।
নদী বন্দর / পিকে