চট্টগ্রামে মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুর হত্যা মামলার আসামি প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ ও মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল লতিফ মারা যাওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলারা আলো চন্দনার আদালত সম্পূরক অভিযোগপত্র গ্রহণ করে এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূইঞা ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শামসুর রহমান শমসেরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এরপর আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
গত ১২ জানুয়ারি ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলারা আলো চন্দনার আদালতের এ সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন। ১৫ জানুয়ারি তাদের অব্যাহতি দিয়ে সম্পূরক অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ ছাড়া মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূইঞা ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শামসুর রহমান শমসেরকে অভিযুক্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি।
২০১৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আসাদুজ্জামান খান রচি মামলাটি অধিকতর তদন্তের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন সিআইডিকে। ১৯৮১ সালে চট্টগ্রামে মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে আটক করে পুলিশ। ওই বছরের ২ জুন তাকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।
১৯৯৫ সালে মঞ্জুরের ভাই আবুল মনসুর আহমেদ পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় এরশাদসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হওয়ার পর ২০১২ সালে আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন প্রধান আসামি এরশাদ। আদালতে লিখিত বক্তব্যও দাখিল করেন তিনি।
নদী বন্দর / পিকে