তৃতীয় দিনের মতো খুলনা মহানগরীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এসময় বেশকিছু স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। নির্ধারিত সময়ে উচ্ছেদ অভিযান শেষ না হলেও সময় বাড়ানো হবে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মেঘনা নদীর তীরে গড়ে তোলা অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
স্কেভেটর দিয়ে একে একে গুঁড়িয়ে দেয়া হয় ইট-সিমেন্টের আধাকাঁচা ঘর। লক্ষ্য- মেঘনা নদী দূষণ ও দখলমুক্ত রাখা।
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে দ্বিতীয় দিনের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌ বন্দর এলাকায় অভিযান চালায় বিআইডব্লিউটিএ। এ পর্যন্ত মেঘনার তীর দখল করে গড়ে তোলা একতলা পাকা বসতবাড়ি ও দোকানপাটসহ অন্তত ৮৬টি স্থাপনা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
আশুগঞ্জ-ভৈরব নৌবন্দর বিআইডব্লিওটিএয়ের উপ-পরিচালক মো. শহীদ উল্লাহ বলেন, আমরা কিছুদিন আগের ময়লা আবর্জনার পরিষ্কার করার একটা অভিযান চালিয়েছি। আবার তারা এ কাজ করছে। নদীর জায়গা তীরভূমি দখল করে ভরাট করে ঘরবাড়ি করছে। এজন্য আবার উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়েছে।
এছাড়াও খুলনা মহানগরীর শেরে বাংলা রোডে তৃতীয় দিনের মতো চালানো হয় অভিযান। ৪ লেনের সড়ক সম্প্রসারণের জন্য ছোট-বড় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহকারী সিনিয়র সচিব অনিন্দিতা রায় বলেন, যদি ২৮ তারিখের মধ্যে ২২৮টা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ সম্পন্ন করা যায় তাহলে তো হলো আর না হলে সময় বাড়ানো হবে।
১৭ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ১০৩টি ভবন ভেঙে ফেলা হয়েছে। এছাড়া অনেকেই স্বেচ্ছায় নিজেদের ভবন ভেঙে ফেলার কাজ করছে।
নদী বন্দর / পিকে