পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সরকার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর। দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।
রোববার (১২ নভেম্বর) রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় ও দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক সভায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী। এসময় সৌদি আরবে বসবাসরত প্রবাসীদের হাসিমুখে সেবা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দূতাবাসের স্বল্প লোকবল নিয়ে এত বিশাল সংখ্যার প্রবাসীদের সেবা প্রদান করা এক চ্যালেঞ্জের বিষয়। দূতাবাসে সেবা গ্রহণ করতে আসা প্রবাসীদের সঙ্গে ভালো আচরণের মাধ্যমে সেবা প্রদান করবেন।
মোমেন বলেন, সৌদির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একাধিকবার সৌদি সফরের মাধ্যমে এ সম্পর্ক দিন দিন আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। সৌদির সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। সৌদির রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল ও আকওয়া পাওয়ার কোম্পানি বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ চূড়ান্ত করেছে। এছাড়া আরও বেশ কিছু সৌদি বিনিয়োগ পাইপলাইনে রয়েছে।
তিনি বলেন, সৌদি ব্যবসায়ীদের জন্য বাংলাদেশে বিশেষ ইকোনমিক জোন তৈরি করা হয়েছে, যেখানে সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে।
এ সময় মন্ত্রী চলতি বছরের মার্চে সৌদির বাণিজ্যমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল কাসাবির নেতৃত্বে সৌদি ব্যবসায়ী দলের এফবিসিসিআই আয়োজিত বাংলাদেশে বিনিয়োগ সামিটে যোগ দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরব ১০ বিলিয়ন গাছ লাগানোর যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সেখানে বাংলাদেশের নানাভাবে সহায়তা করার সুযোগ রয়েছে। গাছ লাগানো ও এর পরিচর্যা থেকে শুরু করে বাংলাদেশ বিভিন্নভাবে সৌদি আরবকে সহায়তা প্রদান করতে পারে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন করেছে। দেশে সন্ত্রাসবাদ দূর করতে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।
সভায় সৌদিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রদূত সৌদির সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, সম্প্রতি ঢাকা চেম্বার ও এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের দুটি দল সৌদি আরব সফর করেছে, যার মাধ্যমে দুদেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে ব্যবসা বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি হয়েছে।
এছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্য, শ্রমবাজার, প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারকের কথাও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামীতে জিসিসি সদস্যভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও শ্রম বাজার বৃদ্ধি পাবে।
প্রসঙ্গত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধে রোববার রিয়াদে অনুষ্ঠিত আরব ইসলামিক সামিটে যোগ দেন।
নদী বন্দর/এসএইচবি