আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নতুন সরকারের চ্যালেঞ্জ হবে অগ্নিসন্ত্রাস সমূলে উৎপাটন করা। আমাদের সরকার নতুন যাত্রা শুরু করবে, নতুন সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, এই নির্বাচনে মানুষ ভোট দেওয়ায় যারা ভোট বর্জনের কথা বলেছিল, অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল, সেই বিএনপি-জামায়াতের প্রতি মানুষ বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছে। আমাদের নতুন সরকার গঠন করার পর নতুন চ্যালেঞ্জ হচ্ছে অগ্নিসন্ত্রাস সমূলে উৎপাটন করা এবং একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করা।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করলেও, সেদিন স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়নি। স্বাধীনতার মহানায়ক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশে পদার্পণ না করা পর্যন্ত আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়নি। ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে আমরা আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছে, যখন জাতির পিতা দেশের মাটিতে পদার্পণ করেছে। সেই দিনে আমি জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
দেশে সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন হয়েছে দাবি করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত ৭ জানুয়ারির বাংলাদেশে একটি অত্যন্ত সুন্দর, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সন্ত্রাসমুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল। কোনো কোনো জায়গায় ৭০ শতাংশের উপরে মানুষ ভোট দিয়েছে। শহরাঞ্চলে কিছু কিছু জায়গায় ভোট কম পড়েছে, কারণ মানুষ তিনদিন ছুটি পেয়েছিল, ছুটি পাওয়ার কারণে মানুষ শহর থেকে গ্রামে চলে গিয়েছিল। সে কারণে শহরাঞ্চলে ভোট কম পড়েছে।
তিনি বলেন, যেসব পর্যবেক্ষক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছিল, বিশেষ করে মার্কিন পর্যবেক্ষক থেকে শুরু করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষক, অন্য জোটভুক্ত দেশ এবং বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যবেক্ষক হিসেবে যারা এসেছিল তারা সবাই এই নির্বাচন সুন্দর, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখে অভিভূত হয়েছে।
গতকাল ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিবৃতি দিয়েছে, সেখানে তারা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে। প্রকৃতপক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের সঙ্গে, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করার কথা বলেছে। জাপানসহ ৩১ দেশের রাষ্ট্রদূতরা এসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে অভিনন্দন জানিয়েছে। ভারত-চীন-রাশিয়া প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
নদী বন্দর/এসএইচবি