পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান এবং তার দলের নেতা শাহ মাহমুদ কুরেশিকে সাইফার মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, আজ রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে দুই পিটিআই নেতার উপস্থিতিতে বিশেষ আদালতের বিচারক আবুল হাসনাত জুলকারনাইন এ রায় ঘোষণা করেন। বিচারক আবুল হাসনাত গত বছর থেকেই এ মামলার শুনানি.করছেন।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে এমন রায় দেওয়া হলো। যদিও বিভিন্ন বাধা এবং প্রতীক না পাওয়া উপেক্ষা করে ইমরান খানের দল জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গত বছরের আগস্টে ইমরান খান ও কুরেশির বিরুদ্ধে সাইফার মামলা করা হয়।
তোষাখানা মামলায় আগেই ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করেছিল পাকিস্তান পুলিশ। তার পর থেকে জেলেই রয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। ইমরানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছে পাকিস্তানের আদালতে। এর মধ্যেই একটি ছিল এই মামলাটি।
পাকিস্তানে সাইফার মামলা বলতে মূলত রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁসের মামলাকে বোঝায়। ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তার হাতে থাকা রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্যাবলির দলিল তিনি ফেরত দেননি। অন্যদিকে ইমরান ও তার দল তেহরিক-ই-ইনসাফের দাবি, ওইসব নথিপত্রে উল্লেখ ছিল মার্কিন হস্তক্ষেপে তাদের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল।
গত বছরের ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট ইমরান খান ও কুরেশিকে গ্রেপ্তার পরবর্তী জামিন দিয়েছিল। যদিও সে সময় ইমরান খানকে অন্য একটি মামলায় অভিযুক্ত করে বন্দি রাখা হয়। অন্যদিক মুক্তির প্রত্যাশায় থাকা কুরেসিকে ৯ মে’র একটি নতুন মামলায় আবার গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
২০২২ সালের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অপসারিত হন ইমরান খান।
নদী বন্দর/এসএইচবি