জাতীয় সংসদে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, ভিসা দালাল ও মানবপাচার সংক্রান্ত গুরুতর অভিযোগ দৃষ্টিতে এলেই তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে পাঠানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে মধ্যস্বত্বভোগী ব্যক্তি ও অন্য অপরাধে জড়িতদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থদণ্ডও করা হচ্ছে।
বুধবার (৮ মে) সংসদ অধিবেশনে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুর রহমান বলেন, দালাল চক্র দমন করতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সহায়ক ভূমিকা পালন করে আসছে। বিদেশগামী কর্মীরা যাতে বিদেশে গমনের নামে প্রতারণার শিকার না হয়, সেজন্য বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়েছে। তাছাড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেশের সব বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সচেতনতামূলক সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে ২৩ সদস্যবিশিষ্ট আন্তঃমন্ত্রণালয় ভিজিলেন্স টাস্কফোর্স কমিটি অভিযান পরিচালনা করছে। এক্ষেত্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার অপরাধে জড়িত রিক্রুটিং এজেন্ট, মধ্যস্বত্বভোগী ব্যক্তি ও অন্য অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থদণ্ড করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন, ২০১৩ সংশোধনের মাধ্যমে ২০২৩ সালে নতুন আইন কার্যকর করা হয়েছে। সংশোধিত আইনে সাব-এজেন্টদের (মধ্যস্বত্বভোগী ব্যক্তি) জবাবদিহিতার আওতায় আনা হয়েছে। ২০২২ সালে ১৮টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও ২০২৩ সালে ৫৭টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ১ লাখ ৪৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
নদী বন্দর/এসএইচ