1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
সাংবাদিকদের হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শনে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি - Nadibandar.com
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪
  • ১৮ বার পঠিত

সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনে যেকোনও ধরনের হয়রানি এবং ভীতি প্রদর্শনে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটি। দুর্নীতির তথ্য প্রকাশের জেরে পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সাম্প্রতিক এক বিবৃতি নিয়ে প্রশ্নের জেরে দেশটি একথা জানিয়েছে।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফর ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর ভারত ও বাংলাদেশের অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রতিশ্রুতি পুনর্নবীকরণ প্রসঙ্গে সামনে আনা প্রশ্নের বিষয়েও কথা বলেছে দেশটি।

উত্তর আমেরিকার এই দেশটি বলেছে, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় সোমবার (২৪ জুন) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

এদিনের ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সাস্প্রতিক ‘হুমকি সম্বলিত’ বিবৃতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চান।

তিনি বলেন, পুলিশের দুর্নীতি নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশের জেরে সম্প্রতি মিডিয়াকে হুমকি দিয়ে একটি বিবৃতি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশন। ক্ষমতাসীনদের বিশাল দুর্নীতির ক্ষেত্রে এই রিপোর্টগুলো ছোটখাটো উদাহরণ মাত্র, যা প্রকাশের ক্ষেত্রে (বাংলাদেশের) নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া প্রায়শই উপেক্ষা করে থাকে।

শীর্ষস্থানীয় একটি ইংরেজি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক প্রকাশ্যে বলেছেন, দুর্নীতির অনেক রিপোর্ট জেনেও তারা তা প্রকাশ করতে পারেন না। আপনি জানেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আন্তর্জাতিক সূচক অনুযায়ী ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৫তম। সংবাদপত্রের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে হুমকি এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নেবে?

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে কার্যকর রাখতে এবং সরকারের স্বচ্ছতা নিশ্চিতে মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের ভূমিকাকে আমরা দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি। সাংবাদিকদের তাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ পরিচালনা করতে বাধা দেওয়ার জন্য তাদের হয়রানি বা ভয় দেখানোর যেকোনও প্রচেষ্টায় আমরা আপত্তি জানাই।

পৃথক এক প্রশ্নে এক সাংবাদিক বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ অবাধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রতিশ্রুতি পুনর্নবায়ন করেছে। ভারতে রাষ্ট্রীয় সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে বৈঠকের পর জারি করা যৌথ বিবৃতিতে অবাধ, উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক, সুরক্ষিত এবং নিয়ম-ভিত্তিক ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের বিষয়ে উভয় দেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। এতে আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতায় উভয় দেশের অংশীদারিত্বের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। উভয় দেশের এই প্রতিশ্রুতি কি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের একই স্বার্থের প্রতিফলন করে?

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমি সেই নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতির বিষয়ে কথা বলতে চাই না কারণ আমি ওই বিবৃতিটি পড়িনি বা আমার সহকর্মীদের সাথেও এ বিষয়ে আলোচনা করিনি। তবে স্পষ্টতই, আমরা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে সমর্থন করি। এটি সেই অঞ্চলে আমাদের স্বার্থ ও সংশ্লিষ্টতার একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক ও বর্তমান সদস্যদের নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনকে ‘অতিরঞ্জিত রিপোর্ট’ আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

গত ২১ জুন সংগঠনটির পক্ষ থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তি এবং গণতন্ত্র ও দেশবিরোধী চক্র কর্তৃক নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড যেমন ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, বোমাবাজি ও পেট্রোল বোমাবাজদের প্রতিহত করার ক্ষেত্রে পুলিশের সফলতার কারণে ওই গোষ্ঠী বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে প্রতিপক্ষ বিবেচনায় প্রতিনিয়তই পুলিশের বিরুদ্ধে নেতিবাচক সমালোচনায় লিপ্ত।

স্বাধীনতা ও দেশবিরোধী চক্র তাদের দোসর বিদেশে পলাতক সাইবার সন্ত্রাসীরা ধারাবাহিকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা ও অতিরঞ্জিত তথ্য প্রকাশ করে পুলিশ কর্মকর্তাদের চরিত্র হননে ব্যস্ত। তাদেরই অনুকরণে ইদানীং কোনো কোনো গণমাধ্যম বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান ও প্রাক্তন সদস্য সম্পর্কে উদ্দেশ্য প্রণোদিত মানহানিকর নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ করছে, যা বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার হীন উদ্দেশ্য বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এছাড়াও কোনো কোনো মিডিয়া হাউস ব্যক্তিগত আক্রোশ ও নিজস্ব স্বার্থ রক্ষায় কোনো কোনো পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবমাননাকর নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করছে; যা সাংবাদিকতার নীতিমালা বিরোধী।

বাংলাদেশ পুলিশ কখনোই গণমাধ্যমের কাছে এ ধরনের অপেশাদারি সাংবাদিকতা প্রত্যাশা করে না বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com