মার্কিন কংগ্রেসের উদ্দেশে মঙ্গলবার (৪ মার্চ) ভাষণ দিতে যাচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজে প্রত্যাবর্তনের পর থেকে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে প্রায় আমূল পরিবর্তন আনা, শীর্ষ অংশীদারদের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করা, সরকারি কর্মীবহর কাটছাঁট করা এবং প্রেসিডেনশিয়াল ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করার বিষয়গুলো তার ভাষণে উঠে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
স্থানীয় সময় রাত ৯টা বেজে ১০ মিনিটে প্রতিনিধি পরিষদে এই ভাষণ শুরু হতে যাচ্ছে। বাইডেনের কাছে হারের পর এখানেই ক্যাপিটল হিল হামলার ঘটনা ঘটিয়েছিল ট্রাম্প সমর্থকরা। ক্ষমতায় এসেই ওই হামলায় দোষী সাব্যস্তদের মুক্তি দেন তিনি।
ভাষণ শুরুর আগে সংবাদমাধ্যমের কাছে কিছু উদ্ধৃতি সরবরাহ করেছে হোয়াইট হাউজ। সেটা যাচাই করে রয়টার্স ধারণা করছে, ওভাল অফিসের মসনদে বসার প্রথম ৪৪দিন নিয়ে কিছুটা আত্মপ্রশংসা করবেন ট্রাম্প। হয়তো দাবি করবেন, মার্কিন ইতিহাসে কোনও প্রেসিডেন্টের সফলতম প্রথম মাস ছিল এটি।
এছাড়া, ব্যাপকহারে শুল্ক আরোপ নিয়েও কথা বলতে পারেন তিনি। তার এই পদক্ষেপের কারণে ভোক্তামূল্য বৃদ্ধি পাওয়া ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শ্লথ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও তিনি বোধহয় নিজ পদক্ষেপের সাফাই গাইতে পারেন।
হোয়াইট হাউজের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, ট্রাম্পের ভাষণের মূল বিষয়বস্তু হতে পারে মার্কিন স্বপ্নের পুনরুদ্ধার (রিনিউয়াল অব দ্য আমেরিকান ড্রিম)। এই ভাষণটি বছরের শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণের সমতুল্য হলেও অভিষেকের বছরে এই নামে সেটিকে অভিহিত করা হয়না।
ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ট্রাম্পের ভাষণে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে তার পরিকল্পনা ও ইসরায়েল থেকে হামাস কর্তৃক অপহৃত বাকি জিম্মিদের উদ্ধার করা সংক্রান্ত বক্তব্য।
নদীবন্দর/এএস