ইতিহাসের নতুন অধ্যায় রচনার পথে ফিলিস্তিন। প্রথমবারের মতো ‘মিস ইউনিভার্স’ মঞ্চে পা রাখতে চলেছেন দুবাই-ভিত্তিক ফিলিস্তিনি সুন্দরী নাদিন আয়ুব। রূপ, বুদ্ধিমত্তা ও সাহসিকতায় ভরপুর এই সুন্দরী শুধু প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন না, বরং একটি জাতির স্বপ্ন, অস্তিত্ব আর পরিচয়ের বার্তা বহন করছেন। বিশ্বমঞ্চে এবার শোনা যাবে ফিলিস্তিনের কণ্ঠ!
২১ নভেম্বর শুরু হবে ২০২৫ এর বিশ্ব সুন্দরীর প্রতিযোগিতা। এবারের আসর অনুষ্ঠিত থাইল্যান্ডে। নাদিন আয়ুব গত ১৩ অগস্ট ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বিশ্ব সুন্দরীর প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘আমি প্রথমবারের মতো মিস ইউনিভার্সে ফিলিস্তিনের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছি। এতে আমি সম্মানিত বোধ করছি। আমি কেবল একটি খেতাব নিয়ে নয় বরং সত্য নিয়ে মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে পা রাখছি। যখন প্যালেস্টাইন—বিশেষ করে গাজা হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।’
নাদিন আয়ুব যোগ করেন, ‘আমি তুলে ধরছি সেই মানুষের কণ্ঠ যারা চুপ করে থাকেনি, থেমে যায়নি। বিশ্বকে দেখতে হবে আমি প্রতিটি ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুর প্রতিনিধিত্ব করি। আমি প্রতিনিধিত্ব করছি সেই সব ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুর, যাদের শক্তি সাহস আর অদম্যতা আজ পুরো বিশ্বকে দেখা উচিত।’
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘আমরা কেবল আমাদের কষ্ট কিংবা বেদনার প্রতীক নই। আমরা সহনশীলতা, আশাবাদি। জন্মভূমির প্রতি ভালোবাসা আজও আমাদের ভেতরে বেঁচে আছে, বেঁচে থাকবে।’
‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশটির নারী ও শিশুদের কণ্ঠস্বরকে আরও জোরদার করার পরিকল্পনা নাদিনের। তিনি ফিলিস্তিনের নারীদের অকথিত গল্পগুলো বিশ্বর মাঝে ছড়িয়ে দিতে চান। নাদিন মন করেন, ফিলিস্তিনি নারীরা সংগ্রামের প্রতীকের চেয়েও বেশি কিছু। তার দেশের নারীদের স্বপ্ন, প্রতিভা এবং কণ্ঠস্বর বিশ্ব মঞ্চ তুলে ধরতে চান।
বলে রাখা ভালো, নাদিন আইয়ুব দুবাই-ভিত্তিক একজন ফিলিস্তিনি সুন্দরী। যিনি ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের দুবাই এবং রামাল্লাহর মধ্যে থাকেন। তিনি ২০২২ সালে ‘মিস প্যালেস্টাইন’ খেতাব অর্জন করেছিলেন।
নদীবন্দর/জেএস