1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে যুক্ত করতে চায় ইসি - Nadibandar.com
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০১:১০ পূর্বাহ্ন
নদীবন্দর,ঢাকা
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৩ বার পঠিত

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও), ১৯৭২-এ বড় ধরনের সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রস্তাবিত পরিবর্তনের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনী বা প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগকে যুক্ত করার সুপারিশ।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং সংসদ সচিবালয়ে প্রস্তাবনাগুলো পাঠিয়েছে ইসি।

নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ জানান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্ধারিত ছকে ‘আশু বাস্তবায়নযোগ্য’ সংস্কার প্রস্তাবগুলো পাঠানো হয়েছে।

এই কর্মকর্তা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে যুক্ত করার বিষয়টি প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে। এতে আরপিও-তে ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থা’র মধ্যে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসার, কোস্ট গার্ডের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা বাহিনীও যুক্ত হবে।

২০০১ সালের এক অধ্যাদেশে প্রথমবারের মতো নির্বাচনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় প্রতিরক্ষা বাহিনী যুক্ত হয়। তবে ২০০৯ সালে সংশোধিত আইনে তা বাদ দেওয়া হয়। এরপর থেকে সেনাবাহিনী নিয়মিতভাবে নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করলেও তা আইনি কাঠামোর বাইরে ছিল। নবম সংসদে আরপিওর পূর্ব সংজ্ঞা অনুযায়ী সেনা মোতায়েন করা হলেও ২০০৯ সালের পর স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ জাতীয় নির্বাচনগুলোতে সশস্ত্র বাহিনীর মোতায়েন আইনি ভিত্তিহীন হয়ে পড়ে। গত তিনটি নির্বাচন কমিশন আরপিও সংস্কারে নানা উদ্যোগ নিলেও সশস্ত্র বাহিনীকে আইনি সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেয়নি। তবে বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন এই সুপারিশ করে, যা বর্তমান এএমএম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন কমিশন গ্রহণ করেছে।

আশু বাস্তাবায়নযোগ্য সুপারিশগুলোর মধ্যে ইসি, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের নয়টি বিষয় রয়েছে। এগুলো হলো- গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (সংশোধন), নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন, ২০০৯ (সংশোধন), নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ সংশোধন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও গণমাধ্যম নীতিমালা (স্থানীয় ও আর্ন্তজাতিক) পর্যবেক্ষণ ও সাংবাদিক নীতিমালা (সংশোধন), রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ সংশোধন, হলফনামার খসড়া, ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণ (অভ্যন্তরীণ ও প্রবাসী), পোস্টাল ব্যালট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন এবং রাজনৈতিক ও নির্বাচনী অর্থায়নে স্বচ্ছতা ও শুদ্ধাচার চর্চা নিশ্চিত করা।

এই সংস্কারগুলো সরকারের অনুমোদন পেলে প্রায় ১৫ বছর পর আবারো আরপিও-তে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নদীবন্দর/ইপিটি

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com