‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম’ দিবস উপলক্ষে ফেসবুক পোস্টে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শুক্রবার (৩ মে) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই পোস্টে তিনি বলেন, সাংবাদিকেরা গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। তাদের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে এবং কোনোভাবেই দমন করা যাবে না।
পোস্টে তারেক রহমান ২০০৯ সালে বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল নিয়ে প্রকাশিত মেহেদী হকের একটি কার্টুনও যুক্ত করেছেন। কার্টুনটি যেন গণতন্ত্র, মতপ্রকাশ ও দলীয় জীবনের নানা উত্থান-পতনের প্রতীক হয়ে ওঠে—এমন বার্তাও পরোক্ষভাবে উঠে এসেছে পোস্টের মাধ্যমে।
তার এই পোস্টে রোববার (৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত প্রায় ৪৯ হাজার রিঅ্যাকশন, ৭ হাজার ৪০০ শেয়ার এবং সাড়ে ৪ হাজারের বেশি মন্তব্য জমা পড়ে। অধিকাংশ মন্তব্যে তারেক রহমানের বক্তব্যের প্রশংসা করা হয়।
পোস্টে তিনি বলেন, ‘এই বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং নৈতিক সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করি।’
তারেক রহমান অভিযোগ করেন, বাংলাদেশে এখন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ধ্বংস করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সম্প্রতি ক্ষমতাচ্যুত কর্তৃত্ববাদী শাসকের শাসনামলে দমন-পীড়নের মাধ্যমে গণমাধ্যমের ওপর পদ্ধতিগত আঘাত এসেছে।
তিনি লেখেন, ‘সেই অন্ধকার সময়ে কিছু সাহসী সাংবাদিক দুর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন, এবং রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা তুলে ধরেছিলেন। তারা দেশের ভেতরে ও বাইরে সত্য খুঁজে বের করেছেন—মূলধারা হোক বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।’
তারেক রহমান জানান, বিএনপি এমন সাংবাদিকতা থেকে অনুপ্রেরণা নেয়, যা সততা ও নৈতিকতার মানদণ্ড বজায় রাখে। তিনি বলেন, ‘আমরা বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাকে সম্মান করি— এমনি যদি তা আমাদের মতের বিরুদ্ধে যায়।’
পোস্টের শেষাংশে তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে। যদি আমরা একটি শক্তিশালী ও টেকসই গণতন্ত্র চাই, তবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতেই হবে।’
তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান, সবাই যেন বিভেদ ভুলে এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে, যেখানে নির্বাচিত সরকার, আইনের শাসন এবং মানবাধিকার বাস্তবভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
নদীবন্দর/জেএস