গ্রিনলাইনের বাসচাপায় এক পা হারানো রাসেল সরকার ক্ষতিপূরণ বাবদ আরো ১০ লাখ টাকা দিয়েছেন গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষ। সোমবার দুটি চেকে (৫ লাখ টাকা করে) ১০ লাখ টাকা দেয় গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষ। বাকী ১০ লাখ টাকা দিতে গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষ আরো দুইমাস সময় নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাসেল সরকার।
চেক হাতে পাবার পর রাসেল সরকার জানান, ১০ লাখ টাকার চেক হাতে পেয়েছি। এ অবস্থায় গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে আমাদের কাছে দুইমাস সময় চেয়েছে। তারা বলেছেন, দুইমাসেরও কম সময়ের মধ্যে তারা বাকী ১০ লাখ টাকা দেবে। তাদের এ প্রস্তাবে আমরা সম্মত হয়েছি।
হাইকোর্ট গতবছর পহেলা অক্টোবর এক রায়ে তিন মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণ বাবদ রাসেল সরকারকে এককালীন ২০ লাখ টাকা দিতে গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ দেন। রিট আবেদনকারী ও গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষের সম্মতিতে এই ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয়।
এর আগে গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষ রাসেল সরকারকে মোট ১৩ লাখ ৪২ হাজার টাকা দিয়েছিল। হাইকোর্ট এই টাকার বাইরে আরো ২০ লাখ টাকা দিতে নির্দেশ দেন।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ি এলাকায় মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে ২০১৮ সালের ২৮ এপ্রিল গ্রিনলাইন পরিবহনের ধাক্কায় মারাত্মক আহত হন গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার পার্বতীপুর গ্রামের মো. শফিকুল আসলামের ছেলে রাসেল সরকার। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক পর্যায়ে তার একটি পা কেটে ফেলতে হয়। আরেক পা’ও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
এ অবস্থায় রাসেলের পক্ষ হয়ে তাকে আইনগত সহায়তা দিতে এগিয়ে আসেন গাইবান্ধার একই এলাকার বাসিন্দা জাতীয় সংসদের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য (কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি। এককোটি টাকা ক্ষতিপুরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন এই নারী নেত্রী। হাইকোর্ট রুল জারি করেন। ২০১৯ সালের ১০ এপ্রিল হাইকোর্ট এক আদেশে প্রতিমাসে ৫ লাখ টাকা করে মোট ৫০ লাখ টাকা দিতে নির্দেশ দেন।
এই নির্দেশের পর গতবছর জুলাই পর্যন্ত মোট ১৩ লাখ টাকা ৪২ হাজার টাকা দেয় গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষ। তবে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষ আবেদন করায় আপিল বিভাগ গতবছর ১৩ অক্টোবর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে দেন। এরপর থেকে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয় পরিবহন সংস্থাটি। পরবর্তীতে রুলের ওপর হাইকোর্টে চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০ লাখ টাকা দিতে নির্দেশ দেন।
নদী বন্দর / এমকে