1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
চট্টগ্রামে ৬ সন্তান জন্ম দিয়ে রেকর্ড গড়লেন কক্সবাজারের মরিয়ম - Nadibandar.com
সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০৬:৩৪ অপরাহ্ন
নদীবন্দর,চট্টগ্রাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১১ মে, ২০২৫
  • ৭ বার পঠিত

চট্টগ্রামে একসঙ্গে ৬ সন্তান জন্ম দিয়ে রেকর্ড গড়েছেন কক্সবাজারের গৃহবধূ মরিয়ম। নবজাতকদের মধ্যে পাঁচজন কন্যা এবং একজন পুত্র। শনিবার সন্ধ্যার পর চট্টগ্রাম মহানগরীর বেসরকারি ন্যাশনাল হসপিটালে এসব সন্তানের জন্ম দেন তিনি।

এর আগে, গত ২৭ এপ্রিল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ফেনীর গৃহবধূ নাহিদা আক্তার রিক্তা একসঙ্গে পাঁচ সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন। তাঁর সন্তানের মধ্যে ছিল তিন কন্যা ও দুই পুত্র। দুই মা-ই স্বাভাবিক (নরমাল) ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তান প্রসব করেছেন।

চিকিৎসকদের মতে, নাহিদা আক্তারের পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবাই এখনও বেঁচে আছে, তবে কয়েকজনের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। অন্যদিকে, মরিয়মের ছয় নবজাতকই বর্তমানে সুস্থ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ন্যাশনাল হাসপাতালের গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. নাজনীন সুলতানা লুলু।

তিনি জানান, ছয় নবজাতকের মধ্যে একজন ছাড়া বাকিদের ওজন তুলনামূলকভাবে কম হলেও তারা ঝুঁকিমুক্ত। নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যায় (নিওনেটাল ইউনিটে) রাখা হয়েছে এবং চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ চলছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী আমরা পাঁচটি শিশুর প্রত্যাশা করছিলাম, কিন্তু ডেলিভারির সময় দেখা গেল ছয়টি সন্তান জন্মেছে। সাধারণত স্বাভাবিক ডেলিভারিতে ৪০ সপ্তাহ সময় লাগে। যমজ সন্তানের ক্ষেত্রেও অন্তত ৩৪ সপ্তাহ সময় নেওয়া হয়। তবে এই শিশুরা ৩০ সপ্তাহের মধ্যেই জন্ম নিয়েছে, যা অনেকটাই অপরিপক্ব। এত কম সময়ে একসঙ্গে এত শিশু জন্মানো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, কক্সবাজার জেলার একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের গৃহবধূ মরিয়ম চিকিৎসকদের সহায়তায় এই ছয় সন্তানের জন্ম দেন। সাধারণত এমন ক্ষেত্রে সিজারিয়ান ডেলিভারির প্রয়োজন হয়। তবে চিকিৎসকদের পূর্বপ্রস্তুতি, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার কারণে এই স্বাভাবিক ডেলিভারিটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

ডা. লুলু বলেন, ‘১৯ সপ্তাহের গর্ভাবস্থায় ওই মা আমাদের তত্ত্বাবধানে আসেন। শুরু থেকেই তাকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। আমরা সম্ভাব্য জটিলতা আঁচ করতে পেরেছিলাম, তবে শেষ পর্যন্ত সফলভাবে স্বাভাবিক ডেলিভারি করাতে পেরে আমরা গর্বিত।’

ন্যাশনাল হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক ডা. কারিশমা সুলতানা জানান, ‘গত পাঁচ বছরে প্রতি মাসেই ন্যাশনাল হাসপাতালে একসঙ্গে দুই থেকে তিন নবজাতকের জন্মের ঘটনা ঘটেছে। কয়েকদিন আগেই চমেক হাসপাতালে একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম হয়েছে। কিন্তু স্বাভাবিক ডেলিভারির মাধ্যমে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম এই প্রথম। এটা নিঃসন্দেহে একটি রেকর্ড।’

তিনি আরও জানান, মরিয়ম এর আগে তিনবার সন্তান জন্ম দিয়েছেন। দ্বিতীয়বার গর্ভে চারটি ভ্রূণ থাকলেও পাঁচ মাসের মাথায় তা নষ্ট হয়ে যায় এবং ওই সময় তিনি শারীরিক জটিলতায় ভুগে অনেক কষ্ট পেয়েছিলেন। এরপর কয়েক বছর পর তিনি আবার এক সন্তান প্রসব করেন। এবারে গর্ভধারণের পর আলট্রাসাউন্ডে পাঁচটি ভ্রূণের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পরে তিনি লুলু ম্যাডামের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নেন।

ডা. কারিশমা বলেন, ‘রিপোর্ট অনুযায়ী আমরা পাঁচটি শিশুর প্রত্যাশা করছিলাম, কিন্তু ডেলিভারির সময় দেখা গেল ছয়টি সন্তান জন্মেছে। সাধারণত স্বাভাবিক ডেলিভারিতে ৪০ সপ্তাহ সময় লাগে। যমজ সন্তানের ক্ষেত্রেও অন্তত ৩৪ সপ্তাহ সময় নেওয়া হয়। তবে এই শিশুরা ৩০ সপ্তাহের মধ্যেই জন্ম নিয়েছে, যা অনেকটাই অপরিপক্ব। এত কম সময়ে একসঙ্গে এত শিশু জন্মানো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।’

প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘ডেলিভারির সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে মায়ের মৃত্যুও হতে পারত। তাই আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম—রক্তদাতা, মেডিসিন, এবং অন্য যেকোনো জরুরি প্রয়োজনের জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা ছিল।’

গত ২৭ এপ্রিল ফেনীর গৃহবধূ নাহিদা আক্তার রিক্তা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে একসঙ্গে পাঁচ সন্তান জন্ম দেন—তিন মেয়ে ও দুই ছেলে। তাদের মধ্যে একজন শিশুর শারীরিক অবস্থা ভালো থাকলেও বাকি চারজনের অবস্থা সংকটাপন্ন। এখনো তারা জীবিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিশুগুলোর পিতা, প্রবাসী আশরাফুল আলম। তিনি ফেনীর ছাগলনাইয়ার গোপাল ইউনিয়নের মজলিস বাড়ির বাসিন্দা।

আরও আগে, ২০২২ সালে ফেনীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চার সন্তান জন্ম দেন ফারজানা আক্তার (২৪)। তিনি ছাগলনাইয়া উপজেলার মধুগ্রামের বাসিন্দা এবং তার স্বামী আলমগীর হোসেন খাগড়াছড়ির রামগড় শহরের একজন মুদি দোকানি। তবে দুঃখজনকভাবে, ওই চার শিশুর সবাই একে একে মারা যায়।

নদীবন্দর/জেএস

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com