জনগণের প্রত্যাশা পূরণে পুলিশ সদস্যদের আরও আন্তরিক ও দায়িত্বশীল হয়ে উঠার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, ‘জনগণ যেন আইনি সেবা পেতে নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য স্থান হিসেবে পুলিশকে বিবেচনা করে, সেজন্য পেশাদারিত্ব, শৃঙ্খলা ও মানবিকতা বজায় রেখে কাজ করতে হবে।’
রোববার (১৮ মে) রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে অনুষ্ঠিত ‘গ্র্যান্ড মাস্টার প্যারেড’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। প্যারেড শেষে অফিসার ও ফোর্সদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মাস্টার প্যারেডের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে বাহিনীর শৃঙ্খলা ও সংহতি জোরদার করা।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী। এখানে শৃঙ্খলার ব্যত্যয় বা আইনবহির্ভূত কাজের কোনো সুযোগ নেই। দায়িত্ব পালনে নিষ্ঠা ও দৃঢ়তা বজায় রাখতে হবে।’
কমিশনার আরও নির্দেশনা দেন, পুলিশ সদস্যদের সপ্তাহে অন্তত একদিন নিজেদের কর্মস্থল পরিষ্কার রাখতে হবে। এতে পরিবেশ যেমন উন্নত হবে, তেমনি বাহিনীর সম্মানও বৃদ্ধি পাবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা চাই জনগণের আস্থা অর্জন করতে। সেজন্য প্রতিটি পুলিশ সদস্যকে নিরপেক্ষভাবে জনসেবায় নিয়োজিত থাকতে হবে। যেকোনো পরিস্থিতিতে মনোবল ধরে রেখে সাহসের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
ডিএমপিকে একটি আধুনিক, গতিশীল এবং জনবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
প্যারেড অনুষ্ঠানে ডিএমপির শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার হোসেন, (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ, (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এসএন মো. নজরুল ইসলাম, (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. মাসুদ করিম এবং (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী।
এছাড়াও ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের যুগ্ম ও উপ-পুলিশ কমিশনার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তারাও অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাহিনীর মধ্যে শৃঙ্খলা ও আত্মবিশ্বাস বাড়াতে এ প্যারেড আয়োজন করা হয়। রাজারবাগ মাঠে আয়োজিত এ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে প্যারেড কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন ডিএমপির ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার রওনক আলম।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ডিএমপি কমিশনার প্যারেড মাঠে পৌঁছালে সুসজ্জিত বাদক দলের সুরে তাকে সশস্ত্র সালাম জানানো হয়। তিনি সালাম গ্রহণের পর প্যারেডে অংশ নেওয়া বিভিন্ন ইউনিটের কন্টিনজেন্ট ঘুরে দেখেন।
শেষে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা যদি সম্মিলিতভাবে পেশাদার মনোভাব নিয়ে কাজ করি, তবে জনগণের আস্থা অর্জন শুধু সম্ভবই নয়, তা দীর্ঘস্থায়ীও হবে।’
নদীবন্দর/এএস