দেশের উন্নয়ন এগিয়ে নিতে কর-জিডিপির অনুপাত ১৬ থেকে ১৭ শতাংশে উন্নীত করতে হবে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এজন্য ডিজিটালাইজেশন প্রয়োজন হলেও আমরা সেই পর্যায়ে যেতে পারিনি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে ২০১৯-২০ অর্থবছরের সেরা করদাতাদের সম্মাননা ও ট্যাক্স কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সেরা করদাতাদের সম্মাননার মধ্য দিয়ে আগামীতে আরো করদাতা ও কর আদায় বাড়ানো হবে।
এবারে ৩৬টি ক্যাটাগরিতে ঢাকাসহ সারাদেশে মোট ৬৬৫ জনকে সেরা করদাতা হিসেবে মনোনীত করা করে সম্মাননা দেয়া হয়। এর মধ্যে ১৪১ জনকে ট্যাক্স কার্ড প্রদান করে এনবিআর। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ট্যাক্স কার্ড পেয়েছে ব্যক্তি পর্যায়ে ৭৬ জন, কোম্পানি ৫৩ এবং অন্যান্য ১২টি।
২০১৯-২০ অর্থবছরে সিটি করপোরেশন ও জেলা পর্যায়ে ৫২৪ জন ও ঢাকায় ১৪১ জন মনোনীত করা হয়েছে। সেরা ১৪১ জনের মধ্যে কোম্পানি ও ব্যক্তি পর্যায়ের মোট ১০ জনকে স্বশরীরে সম্মাননা স্মারক ও ট্যাক্স কার্ড তুলে দেয়া হয়।
পাঁচটি প্রতিষ্ঠানগুলো মধ্যে রয়েছে- গ্রামীনফোন, আকিজ গ্রুপ, বাংলাদেশ আমেরিকান টোবাকো, স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক ও ইউনিলিভার লিমটেড। এছাড়া ব্যক্তি পর্যায়ে স্মারক ও ট্যাক্স কার্ড গ্রহণ করেন- সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, রুবাইয়া ফারজানা হোসেন, হোসনে আরা হোসেন, লাইলা হোসেন ও হাজী মো. কাউস মিয়া। বাকী ১৩১টি ট্যাক্স কার্ডপ্রাপ্তরা করোনার কারণে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে করোনায় মারা যাওয়া এনবিআরের ৮ কর্মকর্তার পরিবারের হাতে সমবেদনা স্মারক তুলে দেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, কর আহরণের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হলে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। পাশাপাশি কর আহরণকারী কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতেও কাজ করতে হবে এনবিআরকে।
নদী বন্দর / পিকে