গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের আহ্বান জানিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে খোলা চিঠি দিয়েছেন ইসরায়েলের ৬০০ সাবেক সামরিক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা। সোমবার (৪ আগস্ট) বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে পাঠানো হয় চিঠিটি।
চিঠিতে বলা হয়, হামাস এখন আর ইসরায়েলের জন্য কৌশলগত হুমকি নয়। তাই যুদ্ধ থামানো জরুরি। নেতানিয়াহু যেন আগ্রাসন বন্ধ করেন, সেজন্য ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
তারা লিখেছেন, ইসরায়েলি জনগণের বড় একটি অংশ এখনো ট্রাম্পের ওপর আস্থাশীল। তাই ট্রাম্প চাইলে নেতানিয়াহুকে সঠিক পথে আনতে পারেন।
চিঠিতে বলা হয়, যুদ্ধ বন্ধ করুন, জিম্মিদের ফিরিয়ে আনুন, গাজার মানুষের দুর্দশা বন্ধ করুন।
চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন সাবেক মোসাদ প্রধান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদ বারাক, সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোশে ইয়ালনসহ অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি।
এই চিঠি এমন এক সময় দেওয়া হলো, যখন গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাসের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত করেছে ইসরায়েল। একই সঙ্গে নেতানিয়াহু নতুন করে সামরিক অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে গাজায় রোজ বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। সোমবার একদিনেই সেখানে নিহত হয়েছেন অন্তত ৭৪ জন। এর মধ্যে ৩৬ জন মারা গেছেন খাবার নিতে গিয়ে।
ইসরায়েলি হামলা চলছে গাজার দক্ষিণ, মধ্য এবং উত্তর অংশজুড়ে। খান ইউনিস, দেইর আল বালাহ, গাজা সিটিসহ সব এলাকায় চলছে হামলা।
ত্রাণ নিতে গিয়ে আকাশ থেকে ফেলানো খাবারের প্যাকেটের আঘাতেও মানুষ মারা যাচ্ছে।
জাতিসংঘ বলছে, গাজায় প্রতিদিন গড়ে ২৮ শিশু মারা যাচ্ছে। দাতব্য সংস্থাগুলোর দাবি, গাজায় প্রতিদিন কমপক্ষে ৬০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করা দরকার। কিন্তু এখন যাচ্ছে মাত্র ৮৪টি ট্রাক।
হামাস বলেছে, যদি ইসরায়েল মানবিক করিডোর পুরোপুরি খুলে দেয়, তাহলে তারা রেডক্রসকে জিম্মিদের কাছে ত্রাণ পৌঁছাতে দেবে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার এক বিতর্কিত ঘোষণা দিয়েছে। তারা বলেছে, যেসব অঙ্গরাজ্য ইসরায়েলি কোম্পানিকে বয়কট করবে, তারা ১.৯ বিলিয়ন ডলারের দুর্যোগ প্রস্তুতি তহবিল পাবে না।
সূত্র: বিবিসি
নদীবন্দর/জেএস